বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ (ডুয়েট)

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ (ডুয়েট)
বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭



সংগৃহীত ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ গাজীপুরে ঢাকা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) সব একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণাসহ শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যায়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করাসহ ছাত্রদের বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার মধ্যে ও ছাত্রীদের বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঢাকা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান রাসেল জানান, ডুয়েটের সব বিভাগের পরীক্ষা শুরুর পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ছিল ২ নভেম্বর। মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ভিসির কাছে পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবি জানায়। ভিসি তাদের দাবি না মানলে তারা ডুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক কামরুজ্জামানের কক্ষে যায়। অধ্যাপক কামরুজ্জামানও তাদের দাবির প্রতি সম্মতি না জানিয়ে বাসায় গিয়ে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলেন এবং শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যায় ডুয়েটে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের কাছে জড়ো হয় এবং পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা ঢাকা-শিমুলতলী সড়কে অবস্থান নেয় এবং সড়ক অবরোধ করে। এসময় কয়েকজন শিক্ষক সেখানে গিয়ে তাদের আন্দোলন বন্ধ করতে বলেন। তারা আন্দোলন বন্ধ না করলে তিন শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যান এবং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার (গায়ে হাত তুলেন) করেন। এ খবর শুনে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে তারা ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালায়।
ভিসি অধ্যাপক মো. আলাউদ্দিন জানান, ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী ২ নভেম্বরের পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানায়। তাদের দাবি না মেনে চলে যেতে বলায় শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যায় পাশের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে গাড়ির টায়ারে অগ্নিসংযোগ ও রাস্তা অবরোধ করে। এসময় কয়েকজন শিক্ষক তাদের নিষেধ করতে গেলে তারা তা না শুনে বিক্ষোভ চালিয়ে যায় এবং ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। তাদের নিক্ষেপ করা ইটপাটকেলে শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ ৫-৬ জন আহত হয়েছেন। পরে রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা মুখোশ পড়ে প্রধান ফটক ভেঙে ক্যাম্পাসে ঢুকে লাইট নিভিয়ে তাণ্ডব চালায়। এসময় তারা ভিসির অফিস, বাসভবন ও ক্যাম্পাসে থাকা সিসি ক্যামেরা ও ভিসির গাড়িসহ ৬-৭টি গাড়ি করে। এছাড়াও লাইব্রেরি ভবনের নীচতলায় ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ এসে রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাংলাদেশ সময়: ২১:১০:১১   ৫৫২ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #  #  #