বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭
সাকিব কি মাশরাফি হতে পারবে?
Home Page » ক্রিকেট » সাকিব কি মাশরাফি হতে পারবে?বঙ্গ-নিউজঃ অধিনায়কত্ব তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। অতীতে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে। তবে আজ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের পুনরাবির্ভাব নতুন এক অধ্যায়েরই হাতছানি দিচ্ছে। ২০১৪ সালের শেষ দিকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা যেমন বদলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের দিগন্ত। আজ ব্লুমফন্টেইনে সাকিব বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন এক পথচলার সূচনা করবেন কি না, সে প্রশ্নটা কিন্তু এসে যাচ্ছে খুব করেই।
নিঃসন্দেহে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। এযাবৎকালের সেরা ক্রীড়াবিদও। সফলতমও। বিশ্বসেরাদের একজন। বিশ্বের সেরাদের একজন হয়ে নিয়মিতই তিনি হানা দিয়েছেন রেকর্ড বইয়ের পাতায়। তাঁর হাতে অধিনায়কত্বের ব্যাটন নতুন করেই যেন স্বপ্ন দেখাচ্ছে দেশের ক্রিকেটকে।
২০০৯ সালেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশের অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। সে বছর ২ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছিলেন তিনি। টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেলেও টি-টোয়েন্টিতে নেতা হিসেবে এখনো জয়ের মুখ দেখেননি সাকিব। আজ সেটিই করে দেখাতে চাইবেন তিনি। ৯টি টেস্টে অধিনায়কত্ব করে ১টিতে জয় পেয়েছেন, বাকিগুলোতে হেরেছেন। ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেছেন ৫০টি ম্যাচে। এর মধ্যে জয় ২৩টিতে, হার ২৬টিতে।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে যে চারটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব, তাতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল ১৫১। ২০০৯-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে এ রান করেছিল বাংলাদেশ। তাঁর অধিনায়কত্বে ৭৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জাও পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৯-১০ সালে নিউজিল্যান্ড সফরের সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি টাইগাররা। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির দল জিতেছিল পুরো ১০ উইকেটে। তাঁর অধিনায়কত্বে সেটিই দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়।
অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ওই পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৪৭ রান করার পাশাপাশি ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। তবে নেতৃত্বের ভার যে তাঁর খেলায় অল্পই প্রভাব ফেলে, সেটি তো প্রমাণিতই। টেস্টে অধিনায়কত্ব করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের কাছেই মাথা নত করে ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম হোয়াইটওয়াশের শিকার হয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
মাত্র ৪ ম্যাচ দিয়ে সাকিবের অধিনায়কত্ব বিচার করা যাবে না। মাঠে তিনি সব সময়ই আক্রমণাত্মক। দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের এই দুঃসময়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা যে এখন নিজেদের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছেন!
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৯:০৯ ৭৮০ বার পঠিত #bangla news #bangla newspaper #bangladesh news #bd news #daily newspaper #World News