মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭
মৃত্যুর ১০০ বছর পরেও নিত্যনতুন আলোচনায়
Home Page » প্রথমপাতা » মৃত্যুর ১০০ বছর পরেও নিত্যনতুন আলোচনায়
বঙ্গ-নিউজঃ গোয়েন্দা, কিংবদন্তী, নৃত্যশিল্পী- কত নামেই না অভিহিত করা হয় ডাচ নাগরিক মার্গারিটা জিলিকে। মঞ্চে যিনি পরিচিত ছিলেন মাতা হারি নামে।
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জার্মানির হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফায়ারিং স্কোয়ারে তাকে মেরে ফেলা হয়। ওই সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪১ বছর। মৃত্যুর ১০০ বছর পরেও নিত্যনতুন আলোচনা হয় ‘গুপ্তচর’ এ মাতাকে নিয়ে।
১৮৭৬ সালের ৭ নেদারল্যান্ডের জন্ম হয় মাতা হারির। ফরাসি সৈন্যরা ১৯১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ফায়ারিং স্কোয়াডে মাতা হারির মৃত্যু নিশ্চিত করে। এর একদিন পর ‘মার্টিন’ নামের একটি সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় লেখা হয়, ‘একজন গোয়েন্দার যবনিকাপাত। হারিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মেরে ফেলা হয়েছে। ‘ লে পেতিত জার্নালে লেখা হয়েছিল, ‘মাতা হারি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যে অপরাধ করেছেন জীবন দিয়ে তার ক্ষতিপূরণ চুকিয়েছেন’।
তবে অভিযোগ আছে, যতটা গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল মাতা হারির বিরুদ্ধে তার বেশিরভাগই ছিল তৎকালীন ফরাসি সরকারের প্রোপাগান্ডা।
ইতিহাসবিদদের অনেকেও মত দিয়েছেন, ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ভোগ করার মতো গুপ্তচরবৃত্তি করেননি মাতা হারি।
মাতা হারির মৃত্যুর ১০০ বছর পর ‘ফ্রান্স ২৪’ নামের একটি ওয়েবসাইট সংবাদের শিরোনাম করেছে, ‘মাতা হারি: একজন গোয়েন্দা যিনি আসলে গোয়েন্দাই ছিলেন না!’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০০:০৬ ৩২০ বার পঠিত