রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

বিএনপির নেতৃত্বে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে: কে এম নূরুল হুদা (সিইসি)

Home Page » এক্সক্লুসিভ » বিএনপির নেতৃত্বে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে: কে এম নূরুল হুদা (সিইসি)
রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৭



ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ বিএনপির নেতৃত্বে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে সিইসি এ মন্তব্য করেন। তিনি জিয়াউর রহমানসহ বিএনপি সরকারের নানা ইতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

সকাল ১১টায় সিইসির সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশন ভবনে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে বিএনপি গঠনের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি গঠিত হয়। এতে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি যোগ দেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচন হয় যেখানে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসে।’

সিইসি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে, দলনেতা হিসেবে জিয়াউর রহমান ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি প্রায় ৯ বছর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছে। পরে ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে ২১০ আসনে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে।’

সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আজকের সংলাপে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের অনেকেই সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মহান জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে সংসদ পরিচালনা করেছেন। অনেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রেখেছেন।’

বিএনপি সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘দেশ পরিচালনাকালে বিএনপি সরকার দেশে অনেক নতুন ধারার প্রবর্তন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন গঠন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, আইন কমিশন গঠন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছরে উন্নীতকরণসহ অনেক উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রম।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। তাদের সফল রাষ্ট্রপরিচালনার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বৃহৎ রাজনৈতিক দল পরিচালনায় তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আজকের সংলাপের দিকে জাতি তাকিয়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশন অধীর আগ্রহ ও অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে, অতি ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করছে।’ নির্বাচন কমিশন বিএনপির সঙ্গে সফল সংলাপ প্রত্যাশা করে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩১:৫০   ৯২২ বার পঠিত