শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ্য : মার্ক লোকক

Home Page » এক্সক্লুসিভ » মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ্য : মার্ক লোকক
শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০১৭



 ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ রাখাইন পরিস্থিতিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান মার্ক লোকক বলেছেন, রোহিঙ্গারা এখনো মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে। রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য আরো ঢল সামলাতে জাতিসঙ্ঘ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আজ শুক্রবার জেনেভায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লোকক একথা জানান।
তিনি বলেন, রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের স্রোত বন্ধ হয়নি। মিয়ানমারে এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের আরো জনস্রোত সামাল দিতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
সম্প্রতি কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন প্রত্যক্ষ করে যাওয়া জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, পাঁচ লাখ মানুষ লাঠি হাতে মারামারি করেনি কিংবা ঝোঁকের বসে তাদের দেশ ছেড়ে চলে আসেনি।
পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) জোয়েল মিলম্যান বলেন, প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।
জাতিসঙ্ঘের হিসাবে গত ছয় সপ্তাহে রাখাইন থেকে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিশ্বসংস্থা এটিকে পৃথিবীর ‘দ্রুততম বিকাশমান উদ্বাস্তু সমস্যা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মুসলমানদের একটি বড় জনগোষ্ঠি সীমান্ত পাড়ি দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জীবিকা ও স্বাস্থ্য সমস্যা এবং নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা থেকে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে।
মিয়ানমারের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, তারা বাংলাদেশে পালাতে চাওয়া মানুষদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মিয়ানমারের নাগরিক না হওয়ায় রোহিঙ্গাদের আটকাতেও পারছেন না।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসার পর মিয়ানমার যে অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা রাখাইন সংকটের কারণে নস্যাত হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। তবে সামরিক শাসন ও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা অবস্থায় মিয়ানমারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলো চীন এখনো দেশটিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ওয়াশিংটনে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে রাখাইন পরিস্থিতির ওপর এক শুনানীতে বলা হয়েছে, সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা সহায়তা স্থগিত রাখা যায়। তবে এতে পরিস্থিতি যাতে আরো খারাপের দিকে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এতে সম্প্রতি মিয়ানমার সফর করে আসা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ-সহকারী মন্ত্রী পেট্রিক মার্ফে বলেছেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়াতে পারে - এ ধরনের পদক্ষেপ আমরা নিতে চাই না। জটিল এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ঠ ঝুঁকি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৫:২০   ৫৬৯ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #