বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
কমপক্ষে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়ছে
Home Page » প্রথমপাতা » কমপক্ষে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়ছেবঙ্গ-নিউজঃ বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে ভাষাগত মিল থাকায় সহজেই লোকালয়ে মিশে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে তারা। গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বড়ছন খেলা, ফুলতলী, সাপমারাঝিরি, কচুবুনিয়া, ঠান্ডাঝিরি, করিডোর ঘোনার নো ম্যান্স ল্যান্ডে ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। অনেকে দালাল ধরে পাহাড়ের অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। পরে জিপ, টেক্সি, টেম্পু ভাড়া করে পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ছে।
বাইশারীর মানবাধিকার কর্মী আবদুর রশিদ জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অবস্থানকারী আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন জানিয়েছেন, অনেক রোহিঙ্গা পরিবার আলীকদমে এসেছেন বলে শুনেছেন। লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসাইন জানিয়েছেন, তাদের এলাকায় রোহিঙ্গা পরিবার আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় লোকজন তাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু জানিয়েছেন, শিলেরতুয়া এলাকায় কিছু রোহিঙ্গা এসেছে বলে তিনি শুনেছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক রবিবার বান্দরবান জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে। বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অবস্থানরত সকল রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। কোনো রোহিঙ্গাকে বান্দরবানের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, হাটহাজারী পৌর এলাকার কামাল পাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম। আটককৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। বাংলাদেশে আসার পর তারা গত তিন দিন উখিয়ায় অবস্থান করে। পরে হাটহাজারীতে চলে আসে। তাদের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, উপজেলায় যারা রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে আশ্রয় দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় গত দু‘দিনে নারী-শিশু ও পুরুষসহ ৩২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবারে একই পরিবারের পাঁচজনসহ ২১ জন ও মঙ্গলবার দুপুরে ১১ জন রোহিঙ্গাকে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। সোমবার রাতেই ২১ জনকে উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং মঙ্গলবারে আটককৃতদের শীঘ্রই টেকনাফ ক্যাম্পে পাঠানো হবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। জানা যায়, আটককৃত রোহিঙ্গারা আমিরাবাদসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের আটক করে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৩:১৩ ৭৩৬ বার পঠিত