মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০১৭

লোমহর্ষক শিশু হাসমি হত্যা রায়ে মাসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ

Home Page » এক্সক্লুসিভ » লোমহর্ষক শিশু হাসমি হত্যা রায়ে মাসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ
মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০১৭



শিশু হাসমি মিয়া ফাইল ছবি
বঙ্গ-নিউজঃ  খুলনায় চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক শিশু হাসমি মিয়া (৯) হত্যা মামলার রায়ে পাষণ্ড মাসহ চার আসামিকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহত হাসমির মা সোনিয়া আক্তার, তার কথিত প্রেমিক মো. নুরুন্নবী, মো. রসুল ও মো. হাফিজুর রহমান। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি রাব্বি সরদারকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২১ আগস্ট এ মামলার রায়ের দিন ধার্য থাকলেও তা পেছানো হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৬ জুন রাতে মায়ের সাথে অন্যকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দেখে ফেলায় নগরীর আড়ংঘাটা থানা এলাকার সরদারডাঙ্গা শহিদ হাতেম আহম্মেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র হাসমি মিয়াকে (৯) খুন করা হয়। মা সোনিয়া বেগমের সামনেই শিশু হাশমিকে নৃশংসভাবে খুন করে তিন ঘাতক। হত্যাকাণ্ডের আগে বারবার শিশুটি তার মাকে ডেকে ডেকে বলেছিল ‘মা আমাকে বাঁচাও’। তবুও পাষণ্ড মা ও তার সহযোগীদের মনে এতটুকু দয়া হয়নি শিশু হাসমীর জন্য।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালে নগরীর মানিকতলার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের মেয়ে সোনিয়ার সাথে মো. হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ মাস পর হাফিজুর রহমান বিদেশে চলে যান। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সোনিয়ার চলাফেরা উচ্ছৃঙ্খল হতে থাকে। সে বিভিন্ন জনের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। দেশে আসার পর বিষয়টি জানতে পারেন স্বামী হাফিজুর রহমান। এরপর তিনি স্ত্রীকে শোধরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রীকে তালাক দেন। হাসমি থেকে যায় পিতার সঙ্গে। হাসমিকে তার পিতার কাছ থেকে অপহরণ করে আনার জন্য নুরুন্নবী ও রসুলের সাথে ৫শ’ টাকা ও অনৈতিক কাজের চুক্তি হয় সোনিয়ার।

২০১৬ সালের ৬ জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে অপহরণকারীরা শিশু হাসমিকে অপহরণ করে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসে। তারপর তাকে হত্যা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট বীরেন্দ্রনাথ সাহা। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫২:৩৪   ৫৪০ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #