শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০১৭
যমুনা-আত্রাই’র দুই বাঁধে ভাঙন, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত
Home Page » সর্বশেষ সংবাদ » যমুনা-আত্রাই’র দুই বাঁধে ভাঙন, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিতবঙ্গ-নিউজঃ নওগাঁ সদর উপজেলার শহরতলীর ইকরতারা নামক স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ছোট যমুনা নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। বিকেল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বাঁধের ভাঙা স্থান মেরামতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল এলাকাকাবাসী।
অপরদিকে, গভীর রাতে জেলার পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপরে আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে কয়েকটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নওগাঁ সদর, পত্নীতলা, রানীনগর, মান্দা ও আত্রাই উপজেলার ২০টি স্থানে আত্রাই ও ছোট যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে ওইসব অঞ্চল প্লাবিত হয়। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলা সদরের সঙ্গে আত্রাই উপজেলার ও নাটোর জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে নওগাঁর ৯টি উপজেলার হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে এবং কয়েক হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
জেলার ছয়টি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তা এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, আত্রাই নদীর ধামইরহাট উপজেলার শিমলতলীর হার্ড পয়েন্টে দুই মিটার, মহাদেবপুর পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার ও আত্রাই রেল স্টেশন ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, সীমান্তবর্তী পুনর্ভবা নদীর পানি ২.৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ওই নদীগুলোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৫০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।এদিকে, নওগাঁ শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর টাউন প্রটেকশন ফ্লাড ওয়ালের বিভিন্ন আউটলেট দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পুরাতন কালেকটরেট ভবন চত্বর. জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের বাসভবন, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, জেলা জজ বাসভবন, আলুপট্টি, সুপারিপট্টি, ডাবপট্টি, বিহারী কলোনি, নাপিতপাড়া, উকিলপাড়া, কালীতলা, পার-নওগাঁ শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন স্থান দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান বলেন, “এ পর্যন্ত দুই লাখ ৪৩ হাজার ১০০ জন মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ৪৯৬৮৭ হেক্টর। এখন পর্যন্ত ১৩৭ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুই লাখ ৫৭ হাজার টাকা বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। “
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৯:২০ ৭৪৯ বার পঠিত #bangla news #bangla newspaper #bangladesh news #bd news #daily newspaper #World News