শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০১৭

পাত্রের বয়স ৬৫ আর পাত্রীর বয়স ১৬ বছর!

Home Page » এক্সক্লুসিভ » পাত্রের বয়স ৬৫ আর পাত্রীর বয়স ১৬ বছর!
শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০১৭



ওমানের নাগরিক আহমেদ (৬৫)
বঙ্গ-নিউজ: পাত্রীর বয়স ১৬ বছর। পাত্র ৬৫ বছরের। হ্যাঁ, এমনটাই বয়সের ব্যবধানে ভারতের হায়দরাবাদের এক বালিকাকে বিয়ে দেয়া হয়েছে ওমানের নাগরিক আহমেদ (৬৫) এর সঙ্গে। তারপর পাত্র ওই বালিকাকে নিয়ে গিয়েছেন ওমানের মাস্কটে। কিন্তু পাত্রীর মা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়েকে আহমেদের কাছে ৫ লাখ রুপিতে বিক্রি করে দিয়েছে তার ননদ ও ননদের স্বামী। এখন তিনি মেয়েকে মাস্কট থেকে ফিরিয়ে দেয়ার আর্জি জানাচ্ছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।এতে বলা হয়, ওই বালিকার মা সাইদান্নিসা। তাদের বসবাস নওয়াজ সাহেব কুন্তা এলাকায়। তিনি বুধবার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তাতে তিনি মেয়েকে ফেরত চেয়েছেন।

এতে তিনি নিজের ননদ গাউসিয়া ও ননদ-জামাই সিকান্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। বলেছেন, তারাই জোর করে তার মেয়েকে ওমানের ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে। ওমানের আহমেদ এবার রমজানের আগে হায়দরাবাদে বেড়াতে এসেছিলেন। তখনই তার সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়। মা সাইদান্নিসা দাবি করেছেন, ওমানের ওই শেখের সঙ্গে তিনি মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হননি। এমন প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওদিকে ফুফা সিকান্দার ওমানে গেলে কেমন বিলাসবহুল দিন কাটানো যাবে এ সংক্রান্ত ভিডিও দেখায় সাইদান্নিসার মেয়েকে।

এতে সে বিগলিত হয়। বারকাস এলাকায় একটি হোটেলে তাকে নিয়ে সিকান্দার একজন কাজী দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। বিয়ের পর আহমেদ স্থানীয় একটি হোটেলে তার নববধূকে নিয়ে কাটিয়ে দেয় চারদিন। এরপরে ওই নববধূ তার ফুফা সিকান্দারের বাড়ি তিগালকুন্তায় চলে যায়। অন্যদিকে ওমানের ওই নাগরিক ভারত ছেড়ে যায়। এরপর সিকান্দার নিজে নিজেই পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করে নববধূকে পাঠিয়ে দেয় ওমানে। পরে ওমানের ওই আহমেদ বলেছেন, তিনি সাইদান্নিসার মেয়েকে কিনে নিয়েছেন ৫ লাখ রুপি দিয়ে। আর এই অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে সিকান্দারের কাছে। সাইদান্নিসার ভাষায়, আহমেদ বলেছেন যদি এই অর্থ আমি ফেরত দিই তাহলেই তিনি আমার মেয়েকে ভারতে আসতে দেবেন।

সাইদান্নিসা বলেন, তিনি ঘটনার পর অনেকবার সিকান্দারের বাড়িতে গিয়ে ধরনা দিয়েছেন তার মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য। সাইদান্নিসা বলেন, মেয়েকে ফিরিয়ে আনার কথা বললেই আমাকে হুমকি দেয়া হয়। তাই তিনি পুলিশের এসিপি মোহাম্মদ তাজুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অপরাধীদের ধরতে এবং নিজের মেয়েকে ভারতে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ৯:২১:০০   ৮৬৭ বার পঠিত