রবিবার, ৬ আগস্ট ২০১৭

মিশরীয় ভিখারি, টেরেন্স টিলার; অনুবাদ : খালেদ হোসাইন

Home Page » সাহিত্য » মিশরীয় ভিখারি, টেরেন্স টিলার; অনুবাদ : খালেদ হোসাইন
রবিবার, ৬ আগস্ট ২০১৭



খালেদ হোসাইন
পুরনো চেয়ারে পড়ে-থাকা জামা যেন,
আর তার থেঁতলানো হাত
পাখির মুখের মতো অভিব্যক্তিহীন
দিয়ে ফেলা নৈবেদ্য- অন্ধের প্রতীক
আমাদের চেঁচামেচি মেনে নেয়
সৌজন্যবশত। তুমি পারো
তার দীর্ঘ-মরুভূমি-মুখ
বালু থেকে মুক্ত করে দিতে
অথবা তার দুর্বলতা বইতে পারো
শিশুর মতো।
মদাসক্ত ঘড়ির সেকেন্ডগুলো
সে এলোমেলো করে দেয়
কিন্তু অন্তর্গত জিজ্ঞাসার
কোনো জবাবই দেয় না, কারণ
আত্মা ও শরীরের মর্মান্তিক নমনীয়তায়,
আচ্ছাদিত বছরের পর বছর পেরিয়ে
যৎসামান্য উন্মোচনে
কিচ্ছু ইচ্ছে করে না তার
নিজস্ব চিৎকারেও দাবি করে না তার অস্তিত্ব-
তার শরীর নিছক অনুভূত একটি বয়স।
যেন মুখোশ, ফেঁসে-যাওয়া বিবর্ণ কম্বল
অধঃপতনের আগে সামান্যই জীবন-যাপন-
যখন দেহ তাকে পরিত্যাগ করে।
তাই তার সংহত মরণ কৌতুকের পালক
এবং কৌতুকের দেহ
আর তার ভাঁজ-করা মন
ভীত ও দুঃখভারাক্রান্ত
চঞ্চল ও উন্মুখ
একজন মানুষ হওয়ার প্রত্যাশায়।
পৃথিবীর অবনতি আর পৃথিবীর কণ্ঠস্বরে
পৃথিবীর রঙ আর অবগুণ্ঠনে তার চোখ
শাদানুড়ি-মরুভূমিতে অন্ধ
শরীর জুড়ে বিস্তৃত ভূ-দৃশ্য- এ সবই
অথবা এইসব মৃত্যুর জমি-জিরাত তাকে যেন
ভয়ঙ্করভাবে জন্ম দিয়েছিলো-
এখানে সবকিছু ছদ্মবেশের মতো খ’সে পড়বে।
তার ব্যথিত ও বিনম্র চলাফেরা সীমাবদ্ধ
মূলত নিজের মধ্যে-
বুনে দিতে মনোশূন্য গহ্বর, পার্বণিক হাত আর ঠোঁট
আর ঘোলাটে বিস্ময়
একান্ত অপরাধবোধ
বিস্মরণপ্রবণ এ সময়ে।
হতে পারে তা ছিলো খুবই ভয়ঙ্কর
অথবা তা ঘটেছিলো সময়ের প্রত্ন-পরিসরে।

বাংলাদেশ সময়: ০:৩১:৩৬   ৬২২ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #