বুধবার, ২ আগস্ট ২০১৭

ব্রয়লার মুরগির মাংস ক্যান্সারের কারন!

Home Page » ফিচার » ব্রয়লার মুরগির মাংস ক্যান্সারের কারন!
বুধবার, ২ আগস্ট ২০১৭



--- বঙ্গ-নিউজ: ব্রয়লার মুরগির মাংস ক্যান্সারের কারন ! একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ব্রয়লার মুরগি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। তাই আজ থেকেই ব্রয়লার মুরগির পরিবর্তে দেশি মুরগি খাওয়া শুরু করুন। তাতে হয়তো খরচ বাড়বে, কিন্তু শরীরটা তো বাঁচবে। ব্রয়লার মুরগিদের যেভাবে বড় করা হয়, তা একেবারেই সটিক পদ্ধতি নয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার না করেই তাদের ব্রিড করানো হয়, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের উপর। আসুন জেনে নেই, শরীরের জন্য কতটা নিরাপদ ব্রয়লার মুরগির মাংসঃ১। কাঁচা মাংসে প্রচুর মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর দোকানে যেভাবে একাধিক মুরগিকে এক সঙ্গে রাখা হয় তাতে দু-পাঁচটার শরীরে সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রবেশ করে। যখন মুরগী কাটা হয় তখনও জীবিত মুরগির শরীর থেকে কাঁচা মাংসে ব্যাকটেরিয়া চলে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আর এই জীবাণু যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে একাধিক রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।

২। পোলট্রিতে বড় করার সময় ব্রয়লার মুরগিদের অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়। ফলে এমন ধরনের মুরগি বেশি খেলে আমাদের শরীরেও অ্যান্টি-বায়োটিক রেজিসটেন্স তৈরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের দেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসটেন্সের হার বাড়ার পিছনে ব্রয়লার মুরগির আবদান যে কোনও অংশে কম নেই।

৩। বিশেষজ্ঞের মতো মাত্রাতিরিক্ত ব্রয়লার মুরগি খেলে রক্তে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

৪। ব্রয়লার চিকেন খেলে ফুড পয়েজনিং হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্রয়লার মুরগির শরীরে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা কোনও ভাবেই কিন্তু আমাদের শরীরের পক্ষে ভালো নয়।

৫। দেশি মুরগি একেবারে প্রকৃতির নিয়ম মেনে বড় হয়। ফলে ব্রয়েলার মুরগির মতো তাদের শরীরে কোনও কেমিকেলের উপস্থিতি যেমন পরিলক্ষিত হয় না, তেমনি দেশি মুরগি অনেকাংশেই ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়। ফলে তা থেকে আমাদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৬। বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনে কখনই অন্য খাবার বা সবজির সঙ্গে সেটি রাখবেন না। শুধু তাই নয়, যে ছুরি দিয়ে মাংসটা কাটবেন তা দিয়ে ওই সময় সবজি কাটবেন না। কাঁচা মাংসে অনেক সময়ই ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই নিয়মটা মানলে সেই জীবাণু বাকি খাবারে ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪১:২০   ৫৬৪ বার পঠিত