শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রহস্যময় পুকুর

Home Page » এক্সক্লুসিভ » ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রহস্যময় পুকুর
শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭



বঙ্গ-নিউজ: রাজধানীতে পুকুর খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে পুকুর রয়েছে। প্রায় প্রতিটি পুকুরই সৌন্দর্যে ঘেরা। এসব পুকুর পাড়ে সকাল বিকাল আড্ডায় মেতে উঠেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলে রয়েছে এক রহস্যময় পুকুর।রুপ কথার ন্যায় নানান গল্প রয়েছে এই পুকুরকে ঘিরে। বিভিন্ন মানুষ ও শিক্ষার্থীরা এ পুকুরের অনেশহিদুল্লাহ হলের রহস্যময় পুকুর!ক নাম দিয়েছেন। কেউ ‘ভুতের পুকুর’, কেউ আবার নাম রেখেছেন ‘রহস্যময় পুকুর’। ভুত বা প্রেত না থাকলে এই পুকুরে প্রতি বছর দুই একজন কেন মারা যাবে? এমন দাবি ঢাকা বিশবিদালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী রবিনের।

রবিন বলেন, এই বছরে প্রথম বর্ষে পড়ুয়া আমার এলাকার একটি ছেলে মারা যায়। সকাল বেলা বন্ধুদের সাথে বাজি লেগে পুকুরের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় যাওয়ার সময় মাঝ পুকুরে ডুবে যায় ছেলেটি। ছেলেটি হেল্প হেল্প করে অনেক চিৎকার করলেও কোন সহপাঠি তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে নি। পরে হল থেকে সিনিয়ররা এসে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শেষ বর্ষের ছাত্র বোরহান বলেন, পুকুরে মারা যাওয়া সম্পূর্ণ অসচেতনতার কারণ। যারা সাঁতার পারে না তারা কেন পুকুরে নামবে। এইতো মে মাসে জহিরুল হক হলের পুকুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে এক ছোট ভাই মারা যায়। পুকুরে নামার আগে ও দুই ঘণ্টা ফুটবল খেলেছিল, স্বাভাবিক ভাবেই দুর্বল হয়ে পরে এবং পুকুরে মাঝে ডুবে মারা যায়।

তবে শহিদুল্লাহ হলের পুকুরে এ পর্যন্ত অনেক ছেলে মারা গেছে। পুকুর হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় আঠারো থেকে উনিশ জন মারা গেছে এবং প্রত্যেকে সাঁতার না জানার কারণে মারা গেছে বলে বোরহানের দাবি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুকুরের সিঁড়িতে বসতে মানা থাকা সত্ত্বেও, শিক্ষার্থীসহ ঘুরতে আসা অনেক মানুষই বসে আড্ডা দিচ্ছে।

হলের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই পুকুরের নিচে উদ্ভিদের পরিমাণ বেশি হওয়ায় পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে। হয়তো সে কারণে সাঁতার কাটতে গিয়ে অনেকে মারা যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৭:২০   ৭২৫ বার পঠিত