শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭

ইবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, রাতভর দুই গ্রুপের উত্তেজনা

Home Page » প্রথমপাতা » ইবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, রাতভর দুই গ্রুপের উত্তেজনা
শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭



---

বঙ্গ-নিউজঃ আবাসিক হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিমসহ সাবেক দুই সহ সম্পাদককে মারধর করেছে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা। রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত ছাত্রলীগ কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা রাত ১টা পর্যন্ত মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এতে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সভাপতি শাহিনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বিষয়টি মীমাংস করে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাবেক সহ-সম্পাদক এনায়েত করিম তপু ও মনির খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দেশীয় ব্লকের ৪১৬ নং রুমে নাইম নামে এক শিক্ষার্থীকে থাকার সুযোগ দেয়। বিষয়টি শুনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম গ্রুপের কর্মী শাহজালাল সোহাগ, অনিক, তুর্য, তুষারসহ ১৫-২০জন নেতাকর্মী সেখানে যায়। তারা সিটের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আব্দুর রহিমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ওই সময় তার বন্ধু বাংলা বিভাগে শিক্ষার্থী মনির ও তপু বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করে। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আব্দুর রহিমসহ অন্য দুইজনকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

এবিষয়ে আব্দুর রহিম জানায়, ছাত্রলীগের ঐ কর্মীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম। এছাড়া আমাকেও হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা আমার উপর চড়াও হয়। ’
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ১২ টার দিকে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা লাঠি হকিস্টিক নিয়ে লালন শাহ হলের সামনে অবস্থান নেয়। সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের গ্রুপের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জিয়া হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তারা সাধারণ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। দলীয় কর্মীকে কেন মারধর করা হল তা জানতে চান সাধারণ কর্মীরা। এ বিষয়টি নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তারা দুজনে একান্ত পরামর্শ করে বিষয়টি সমাধান করেন। পরে তারা আহত তিন কর্মীকে দেখতে যানও বলে জানা যায়।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে একটা বিষয় নিয়ে প্রথমে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলেও পরে তা সমাধান করা হয়েছে। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘যে কোন দলের হোক না কেন তাদেরকে সংযতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রশাসন নিজেদের মতো ব্যবস্থা নিবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৬:৫৪   ৪২৩ বার পঠিত