রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭
আইএস ‘খেলাফতের’ ভবিষ্যৎ কী?
Home Page » প্রথমপাতা » আইএস ‘খেলাফতের’ ভবিষ্যৎ কী?বঙ্গ-নিউজঃ ইরাকের মসুল শহরটি ইরাকি বাহিনী দীর্ঘ যুদ্ধের পর পুনর্দখল করে নেবার মধ্যে দিয়ে আরো জায়গা হারিয়েছে ইসলামিক স্টেট।
ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ ভূখন্ড জুড়ে আইএসের কথিত ‘খেলাফত’ ক্রমশই আরো সংকুচিত হচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকার এলাকার পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। কিন্তু এর পর ইসলামিক স্টেটের ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে?
ইরাকে তাদের রাজধানী মসুল শহরের পতন ঘটেছে। আর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের আসল রাজধানী রাক্কা শহর পুনর্দখলের জন্য কোয়ালিশন বাহিনীর লড়াই চলছে।
বিবিসির সংবাদদাতা কুয়েন্টিন সমারভিল জানাচ্ছেন, আইএসের নেতারা ইতিমধ্যেই রাক্কা ছেড়ে পালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সামনে তাই রাক্কার লড়াই-ই হবে সবচেয়ে বড় ঘটনা। কিন্তু রাক্কা শহরটি মসুলের মতো নয়। মসুলে চাইতে আয়তনে অনেক ছোট। কিন্তু এটা এমন এক অঞ্চলে অবস্থিত - যা রণকৌশলের দিক থেকে অনেক কঠিন একটি জায়গা।
খবর অনুযায়ী ইসলামিক স্টেটের নেতারা রাক্কা ছেড়ে ইউফ্রেটিস নদীর উপত্যকায় একটি জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। এগুলো বিপজ্জনক জায়গা এবং কোয়লিশন বাহিনীর এখানে লড়াই করা বেশ কঠিন হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আইএসকে কি পরাজিত করা সম্ভব? এ প্রসঙ্গে কুয়েনটিন সমারভিল বলছেন, তাদের সম্পূর্ণ পরাজিত করা হয়তো কখনোই সম্ভব হবে না। তবে পশ্চিমা কোয়ালিশন চাইছে তাদের এতটা দুর্বল করে ফেলতে - যাতে তারা আর পশ্চিমা দেশগুলোয় আক্রমণ চালাতে না পারে।
তিনি বলছেন, আইএস শুধু এলাকা দখল করতে চায় তাই নয়, তারা একটি আদর্শভিত্তিক গোষ্ঠী। তাদের যোদ্ধারা নিষ্ঠুর এবং খুনে স্বভাবের, আবার একই সাথে আদের উগ্রপন্থী আদর্শের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। তবে পশ্চিমা রণকৌশলবিদরা মনে করেন, খেলাফত হারালে তারা এ আদর্শের প্রতি আর আকৃষ্ট হবে না।
তবে কুয়েন্টিন সমারভিল বলছেন, এসব গোষ্ঠীগুলো সমাজে জাতিগোষ্ঠীগত বা থর্মীয় যেসব বিভক্তি রয়েছে তারই সুযোগ নিয়ে নিজেদের বৃদ্ধি ঘটায় - তাই এই বিভক্তি দূর না হলে আইএস আপাতত পরাজিত হলেও ভবিষ্যতে আবারো ফিরে আসতে পারে, এমন সম্ভাবনা রয়েই যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪১:২৬ ২৬৩ বার পঠিত