মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
“পৃথিবীতে একমাত্র সেইই আমার চোখের ভাষা বোঝে”
Home Page » ফিচার » “পৃথিবীতে একমাত্র সেইই আমার চোখের ভাষা বোঝে”বঙ্গ-নিউজঃ-আসিফ আকবর-ছোটবেলা থেকেই আম্মার কারনে সংসারের দায়িত্ব পালনে ঝুঁকে পড়ি। উনত্রিশ বছর বয়সে গানের জগতে সফলতা পাই। তার আগ পর্যন্ত আকবর পরিবারের প্রতি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। তবে রান্নাঘরে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি, দুধ গরম আর ডিম সেদ্ধ করা একমাত্র যোগ্যতা। এরপর এলো মাইক্রো ওয়েভ ওভেনের যুগ। আমেরিকা সফরে গিয়ে ব্যাপক পেরেশানিতে পড়ে গেছি খাবার গরম করা নিয়ে,পরে সঙ্গীতশিল্পী মেহরীন আপা ওভেন চালানো শিখিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠার পর ব্যাপক নবাবী স্টাইলে চলাচল শুরু। কাজের ব্যস্ততায় লোক নিয়োগ শুরু হলো অটোম্যাটিক। আমার ব্যস্ততার সাথে নিজের প্রাত্যাহিক কাজের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। তখন আমার সাথে ধাপে ধাপে যোগ দিয়েছে কিছু সেবক বন্ধু, এরাও ইন্ডাস্ট্রীতে জনপ্রিয় । একপর্যায়ে তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লাম। নিজে দেখা শোনা করতে না পারলে যা হয়, মিস ম্যানেজমেন্ট শুরু হয়ে গেলো। শাস্তির খপ্পরে পড়ে অনেকেই ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়ন। কিছু কিছু ইস্যুতে আমি ক্ষমাহীন,একা একা নিজেকে চালিয়ে নিবো, ইমেজে হাত দিতে দেবোনা।
ছোট ভাই বন্ধু রিপন ’৯০ ব্যাচের। কৈশোর থেকেই সে পরিপাটি চলাচলে অভ্যস্ত, একজন সাবেক ন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার। সে সাত/আট বছর ধরে আমার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, ভালো ফ্যামিলির ছেলে, তার ঐতিহাসিক প্রেমের বিয়েটা আমরাই হ্যান্ডেল করেছি। রিপন সব দায়িত্ব নেয়ার পর আমি নির্ভার। অফিসে অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু যাবতীয় কর্মকান্ডের নিখুঁত অপারেশনে সে বিশাল দক্ষ । আমার সাথে যারা চলে তাদের সবাই রিপনের ওপর অগাধ আস্থা রাখে, বিদেশ সফরেও আমি তাকে ছাড়া অচল। পৃথিবীতে একমাত্র সেইই আমার চোখের ভাষা বোঝে। প্রত্যূৎপন্নমতি এবং ক্করিৎকর্মা রিপনের ওপর আমি নির্ভরশীল। সে আমার মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য আপদ চিহ্নিত করতে মাষ্টার মাইন্ড। এক মেয়ে এক ছেলে নিয়ে তার সুখী পরিবার । আধা সংসার কুমিল্লায়,আধা ঢাকায় । রিপনকে বিলেছি – তুই মাইয়া অইলে তোরেই আমি বিয়া করতাম। রিপনকে অনেক ভালবাসি, তোর জন্য শুভকামনা ………………………
সুদূর ব্রুনেইতে দক্ষিন চীন সাগরের পাড়ে আমি আর রিপন ।।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩২:১২ ৪৬৫ বার পঠিত