মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে আদালতে ফরহাদ মজহার
Home Page » প্রথমপাতা » ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে আদালতে ফরহাদ মজহারবঙ্গ-নিউজঃ নানা নাটকীয়তার পর যশোরে ‘উদ্ধার’ হওয়া ফরহাদ মজহার গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি অপহরণের শিকার হয়েছিলেন।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নেওয়া হয়েছে ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের খাস কামরায়।
ঢাকার শ্যামলী রিং রোডের বাসা থেকে সোমবার ভোর ৫টার পর বেরিয়ে গিয়ে ফরহাদ মজহার অপহৃত হন বলে তার পরিবারের অভিযোগ। তার ফোন থেকে মুক্তিপণের জন্য টাকা চাওয়ার কথাও তারা বলেছেন।
স্বজনরা আদাবর থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে অবস্থান জানার শুরু হয় অভিযান।
এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের নওয়াপাড়ায় ঢাকাগামী একটি বাসে ফরহাদ মজহারকে পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
আর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফরহাদ মজহারকে যেভাবে ব্যাগসহ পাওয়া গেছে, তাতে তিনি অপহরণের ‘নাটক’ সাজিয়ে থাকতে পারেন বলে তাদের সন্দেহ।
উদ্ধারের পর প্রথমে খুলনায় নিয়ে ফরহাদ মজহারকে ঢাকার পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকার আদাবর থানায়।
সেখানে নাস্তা করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর ফরহাদ মজহারকে নিয়ে যাওয়া হয় মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে।
দুপুরে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার, মেয়ে সমতলী হক ও পারিবারিক বন্ধু গৌতম দাসসহ কয়েকজনকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে একটি মাইক্রোবাসে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
ফরিদা আখতার বলেন, “গতকাল যখন কথা হয়েছিল তখন বলেছিলেন, সারদিন কোনো খাওয়া-দাওয়া করেননি। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার চোখ বাঁধা ছিল। আজ সকালেও বেশি কথা বলতে পারিনি। ব্লাড প্রেশারের ওষুধ দিয়েছি আর সামান্য কিছু খাবার দিয়েছি।”
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, “ফরহাদ মজহার জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে ওষুধ কেনার জন্য তিনি বাসা থেকে বের হলে কয়েকজন একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
“এরপর উনি নিজের মোবাইল ফোন থেকে স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, ৩৫ লাখ টাকা দিলে উনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আমরা এখন জানার চেষ্টা করছি কারা উনাকে নিয়ে গিয়েছিল।”
সংবাদ সম্মেলনের পর বেলা আড়াইটার দিকে ফরহাদ মজহারকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জবানবন্দি রেকর্ড করার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান বাতেন।
সাংবাদকিরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলে এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, “আমরা এখনও তদন্ত করছি। আমাদের তদন্ত করার জন্য সময় দেন।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারও এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ফরহাদ মজহারের মেয়ে সমতলী হক ওই সংবাদ সম্মেলনে থাকলেও কোনো কথা বলেননি
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৯:৫৯ ৪৫৮ বার পঠিত