সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭

আগুনে প্রাণহানী সি-সেল রেস্তোরাঁয়

Home Page » এক্সক্লুসিভ » আগুনে প্রাণহানী সি-সেল রেস্তোরাঁয়
সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭



--- বঙ্গ-নিউজঃ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো থেকে ধোঁয়া উড়ছে।
উত্তরা পূর্ব থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিক জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সি-শেল আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে চতুর্থ তলার ৩০২ নম্বর কক্ষ থেকে এক ৩০-৩৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ এবং ২৫-২৬ বছর বয়সী এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।ওই দুইজনের নাম জানাতে না পারলেও শাকিল নেওয়াজ বলেছেন, “হোটেলে ওই দুইজনই ছিলেন বলে মালিক আমাদের জানিয়েছে। হতাহত অন্য কাউকে এখন পর্যন্ত আমরা দেখিনি।”

আজ সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে তিনটি ভবনে আগুন লাগে। চার ঘণ্টা পর সকাল নয়টার দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে বা কোন ভবন থেকে, তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের ব্যাপারে হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের কেউ নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে পারেননি। দুজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আসার পর সি শেল রেস্তোরাঁতেও কোনো কর্মচারীকে দেখা যায়নি বলে জানান তিনি।

“কর্মচারীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেনি। পুলিশের কাছে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আসে। তার আগেই তারা সবাই পালিয়ে যায়।”

সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, চার নম্বর সেক্টরে ছয়তলা একটি ভবনসহ পাশের দুটি ভবনে আগুন লাগে। ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ছয়তলা ভবনটির একতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত সি সেল হোটেল। একতলায় একুশে নামে আরেকটি রেস্তোরাঁ আছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, অগ্নিকাণ্ডে একুশে রেস্তোরাঁ, পাশের সি সেল রেস্তোরাঁ ও পার্টি সেন্টার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সি সেলের নিচতলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত ডেকোরেশন ও ফলস সিলিং থাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।

সি-শেল রেস্তোরাঁর মালিক আমানউল্লাহ আমান নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি পাশের ভবনের একটি অংশ ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেল চালাচ্ছিলেন। ছয় তলা ওই ভবনের মালিক উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফ।

আবু হানিফের স্ত্রী ইসমে আরা হানিফ বলেন, “আমাদের চার তলা থেকে ছয় তলা ভাড়া দিয়েছি আমানুল্লাহ আমানের কাছে। তিনিই হোটেল চালাচ্ছিলেন। আমাদের ভবনে অগ্নি নির্বাপনের সব ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ভবনে আমাদের কোনো কর্মচারী ছিল না।”

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪১:৪৪   ৪২৮ বার পঠিত