সোমবার, ১২ জুন ২০১৭
দার্জিলিংয়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা !
Home Page » English News » দার্জিলিংয়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা !বঙ্গ-নিউজঃ(তরিকুল ইসলাম)সব বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ভাষা পড়ানোর সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের আঞ্চলিক দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ্ ডেকেছে।
এই বন্ধের বিরুদ্ধে আবার কঠোর ব্যবস্থা নিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে পাহাড় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। দার্জিলিংয়ের সরকারি অফিসের সামনে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
এদিকে রাজ্য পুলিশের এই কড়া অবস্থানের মধ্যেই আজ সকালে মোর্চার সমর্থকেরা বন্ধ করে দেন স্থানীয় সুকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস। পুলিশ এসে পরে তা খুলে দেয়। এ ছাড়া বিজনবাড়িতে সরকারি একটি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় মোর্চার সমর্থকেরা। এখান থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তিনজন ও আটক করে সাত মোর্চার সমর্থককে। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের লেবং কার্ট রোডের গণপূর্ত দপ্তরে আগুন ধরিয়ে দেন মোর্চার সমর্থকেরা। পেট্রল ঢেলে আগুন লাগানোয় পুড়ে যায় অফিসের কাগজপত্র।
দার্জিলিং বন্ধের জেরে আজ বন্ধ করে দেওয়া হয় টয়ট্রেন। অন্যদিকে ২৪টি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা চা-বাগান বন্ধ্ কর্মসূচিও আজ থেকে শুরু হয়েছে। চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দুই দিনের এই চা-বাগান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং পাহাড় ছেড়ে কলকাতায় ফিরে যাওয়ার পরই ফের অশান্ত হয়ে পড়ে পাহাড়। শনিবার রাতেই মোর্চার নেতাদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই পুলিশ পাঁচ মোর্চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
মোর্চা নেতা বিমল গুরুং বলেছেন, এই আন্দোলনের মধ্যে পর্যটকেরা যেন পাহাড়ে না আসেন।
তবে জনমুক্তি মোর্চা এবারের বন্ধ্ কর্মসূচি থেকে বাদ দিয়েছে স্কুল-কলেজ, যানবাহন, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবাকে। খোলা রেখেছে হোটেল-রেস্তোরাঁ। তবে বন্ধ থাকছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সব সরকারি দপ্তর। একই সঙ্গে মোর্চা আরও ঘোষণা দিয়েছে, পাহাড়ের সব সাইনবোর্ড এখন থেকে নেপালি ও ইংরেজি ভাষায় লিখতে হবে। এ ছাড়া এখানে অন্য কোনো ভাষা থাকবে না। জনসাধারণের সুবিধার জন্য সোম ও বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলা থাকবে। অন্যদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
এদিকে জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংও ঘোষণা দিয়েছেন, পাঁচ কেন পাঁচ হাজার গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের আন্দোলন থামবে না। যদিও এই আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য দার্জিলিংয়ে নিয়োগ করা হয়েছে প্রচুরসংখ্যক পুলিশ, র্যাফ, মহিলা পুলিশ, মহিলা সিআরপিএফ, লাঠিধারী পুলিশ, বিশেষ পুলিশ বাহিনী সিআইএফ এবং আইআরবির জওয়ানদের।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৯:৪৭ ৮৭৯ বার পঠিত