সোমবার, ১২ জুন ২০১৭
ফেসবুকে ধর্মের সমালোচনা, শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
Home Page » এক্সক্লুসিভ » ফেসবুকে ধর্মের সমালোচনা, শাস্তি মৃত্যুদণ্ডবঙ্গ-নিউজঃ ধর্মের বিরুদ্ধাচারণের শাস্তি মৃত্যু। সোশাল সাইট ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিল পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালত।
সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করায় ও ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করার কারণেই তাঁর মৃত্যুদণ্ড, সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া তথ্যে এ কথা জানিয়েছেন সে দেশের সরকারি আইনজীবী শফিক কুরেশি। পাকিস্তানের অপরাধ ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো ব্যক্তি ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করার জন্য শাস্তি পেলেন, তাও মৃত্যুদণ্ড।৩০ বছরের তৈমুর রাজার ফেসবুক পোস্টের জন্য কড়া সমালোচনা করেছে পাক সরকার। মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তানে ইসলামের সমালোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হয়। তৈমুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হজরত মোহম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর পোস্টের পরই উত্তাল হয়ে ওঠে সোশাল মিডিয়া। কড়া সমালোচনা করেন সাধারণ মানুষও। এই অপরাধের বিচার সচরাচর সন্ত্রাস দমন আদালতে হয় না। তবে পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে তৈমুরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মের উল্লেখ রয়েছে। ধর্মের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখাকে প্রশাসন দেশদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মতো অপরাধের সঙ্গে এক আসনেই বসাচ্ছে। তৈমুরের ফোনেও অনেক তথ্য মিলেছে বলে অভিযোগ পুলিশের। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ফোন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই ধর্ম নিয়ে এক বিতর্কসভায় পাকিস্তানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উন্মত্ত ছাত্রদের হামলায় মৃত্যু হয় মাশাল খান নামে এক যুবকের। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। এরপর থেকেই ধর্মবিরোধী মন্তব্যের জন্য কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করে পাকিস্তান প্রশাসন। তৈমুরের সামনে সন্ত্রাস দমন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যাওয়া রাস্তা অবশ্য খোলা রয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে হাইকোর্ট, পরে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ের পথে যেতে পারেন তৈমুর। তাই এখনই তাঁর মৃত্যুদণ্ডের প্রক্রিয়া কার্যকর হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪০:৩৪ ৪৯৬ বার পঠিত