রবিবার, ৪ জুন ২০১৭
কাজের মেয়েকে নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড়
Home Page » বিবিধ » কাজের মেয়েকে নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড়ওমর সানি-বঙ্গ-নিউজঃ সাতক্ষীরার এক সহকারী জজের স্ত্রী, কাজের মেয়েকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে
ঘটনাটি ঘটিয়েছে এবার তার বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গাতে। নাতাসা আলমডাঙ্গার বাবুপাড়ার লুলু মাষ্টারের ছোট মেয়ে।
সাতক্ষীরাতে কাজের মেয়েকে মারার ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় ওঠে। এরপর প্রশাসনিক দয়ায় তাঁকে বদলী করে ফরিদপুরে নেয়া হয়। সেই থেকে সহকারী জজ নুরুল ইসলাম স্ত্রী নাতাসাকে নিয়ে ফরিদপুরে অবস্থান করছিলেন।
নাতাসা গতকাল ফরিদপুর থেকে বাবার বাড়ি আলমডাঙ্গাতে বেড়াতে আসে।
আজ সকালে ছোট একটি বাটি খুঁজে না পেয়ে নাতাসা কাজের মেয়ে আমেনার তিন বছরের ছেলে আবীরকে দোষাররোপ করতে থাকে। এ নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটায় বাড়িতে।
প্রথমে ছোট্ট আবীরকে মারতে থাকে নাতাসা। আমেনা এগিয়ে গেলে ঝাপিয়ে পড়ে তার ওপর। এক দফা চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে মেঝেতে ফেলে দেয়। এরপর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বুকের ওপর পা তুলে শ্বাস রোধ করার চেষ্টা করে।
ঘটনার সময় বাড়ির গেইটের সামনে কৌতুহল মানুষের ভীড় জমে যায়। তারা বলতে থাকে,”লুলু মাষ্টারের পরিবারে কাজের মেয়েকে মারধর করার পুরোন ঐতিহ্য রয়েছে। এই পরিবারের মহিলারা কেবলই কাজের মেয়েদের মারধর করে থাকে। তবে অনেকেই বলেছেন, সাধারন পরিবারের ছেলে সহকারী জজ নুরুল ইসলাম এই কাজের মেয়ে মারা পরিবারে বিয়ে করে নিজেই ফেঁসে গেছেন।
রিমা তরফদার বলেন,” কারনে অকারনে কাজের মেয়েদের মারধর করা এটা একটা মানষিক রোগ। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।”
প্রতিবেশীরা আমেনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রোজাদার আমেনা কথা বলতে পারছে না।
আমেনার একটি মেয়ে ছোট্ট সোহানা তার নানীর কাছে থাকে। ছোট্ট ছেলে আবীর থাকে মায়ের সাথে।
অজ্ঞান মায়ের পাশে ছোট্ট সোহানা তার ছোট ভাই আবীরকে কোলে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ৮:১৫:৩৭ ১৮৭৮ বার পঠিত