শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭
এরা উপাচার্য! এরা শিক্ষক!! :গোলাম মোর্তোজা
Home Page » ফিচার » এরা উপাচার্য! এরা শিক্ষক!! :গোলাম মোর্তোজাবঙ্গ-নিউজঃ একটি দুর্ঘটনা এবং দু’টি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আবার আলোচনায় এসেছে। এই আলোচনা আমাদের শিক্ষাঙ্গণের দুরাবস্থার চিত্রটি দৃশ্যমানভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। অভিভাবকরা সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। শিক্ষার্থীরা অন্যায় করলে শাসন করবেন শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের দেখে রাখবেন শিক্ষকরা। দেখবেন শিক্ষার্থীদের প্রতি যেন কোনও অন্যায় বা অবিচার না হয়। বাস্তবে অভিভাবকরূপী শিক্ষকেরা কী করছেন? শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে কতটা নিরাপদ বা আদৌ নিরাপদ কিনা, জাহাঙ্গীরনগর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’একটি ঘটনা তুলে ধরছি।
১. সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে অনিরাপদ ঢাকা-আরিচা সড়ক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেমধ্যেই বাস-ট্রাক চাপায় জীবন হারাতে হয়। সম্প্রতি দু’জন শিক্ষার্থীর জীবন হারানোকে কেন্দ্র করে ঘটে গেলো বেশ কিছু ঘটনা।
দু’জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা সড়ক অবরোধ করে রাখে। বলা হচ্ছে, কেন তারা রাস্তা অবরোধ করবে? এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয়। দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্যে তো আর সাধারণ মানুষ দায়ী নয়। খুবই গ্রহণযোগ্য বক্তব্য। আমি নিজেও এই অবরোধ সমর্থন করতে চাই না। এই রাস্তা দিয়ে আসার সময় ভোগান্তির শিকার যারা হয়েছেন, তার মধ্যে আমিও একজন। এখন প্রশ্ন হলো, শিক্ষার্থীরা কী করবেন?
বহু বছর ধরে দাবি জানানো হচ্ছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এই সড়কটি নিরাপদ করা হোক। সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর কোনও উদ্যোগ কখনও নেয়নি। উদ্যোগ বলতে ‘স্পিড ব্রেকার’ বসানো হয়। এটা কোনও উদ্যোগ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সড়কের এই অংশটুকু ফ্লাইওভার নির্মাণ করা খুব কঠিন কোনও কাজ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন দাবি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে না। শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর পর এক ধরনের লোক দেখানো উদ্যোগ বা কথা বলা হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের ভেতরে এক ধরনের বিক্ষুব্ধতা বহু বছর ধরে জিইয়ে রাখা হয়েছে। একটি দুর্ঘটনার পর যার প্রকাশ ঘটতে দেখা যায়। সরলভাবে ‘কেন করবে’ এই প্রশ্ন করার আগে, এই প্রশ্ন করা দরকার ‘কেন শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয় না’?
২. এবারের অবরোধ চলাকালীন উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে, ‘দাবি মানা হবে’ লিখিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। অবরোধ তুলে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছিল। তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ অবরোধে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে। কেন এই আক্রমণ?
দু’জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ ছিল। তাদের জানাজা ক্যাম্পাসের ভেতরে পড়ার উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অসহযোগিতা করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাত্রলীগের আক্রমণের পর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে বিচার চেয়েছে। উপাচার্য সাত দিনের সময় চেয়েছেন, শিক্ষার্থীরা মেনে নিয়েছেন। উপাচার্য ১৫ মিনিটের মধ্যে অবরোধ তুলে নিতে বলেছেন। শিক্ষার্থীরা তাও মেনে নিয়েছে। কিন্তু ১৫ মিনিটের আগেই পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করেছে। শিক্ষার্থীদের একটি সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্যে ১৫ মিনিট যথেষ্ট সময় নয়। তারপরও ১৫ মিনিট শেষ হওয়ার আগেই কেন পুলিশ আক্রমণ করলো? এমন তো না যে, শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিতে সম্মত হয়নি। ১৫ মিনিটের পরিবর্তে যদি ৩০ মিনিটও লাগত, তাতে এমনকিছু হয়ে যেত না। পুলিশি আক্রমণের যৌক্তিকতা কী?
৩. এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভিসির বাড়ির টব, জানালা ভাঙচুর করেছে। অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম আপনি ভিসি, আপনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। আপনি হুমকি দিলেন, ১৫ মিনিটের মধ্যে অবরোধ না তুললে, পুলিশ অ্যাকশন নেবে! কেন এই হুমকি দেবেন আপনি? আপনার শর্তে তো শিক্ষার্থীরা রাজি হয়েছিল। তো? পুলিশ দিয়ে অভিভাবক হয়ে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করালেন কেন? কেন পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে আট-দশজন শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করলো? এই প্রশ্ন আপনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হয়ে পুলিশকে করলেন না। করবেন কেন, আপনার সম্মতি নিয়ে বা নির্দেশেই তো পুলিশ শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে। এই কি একজন অভিভাবকের কাজ? উপাচার্যের কাজ? আপনার উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। আপনি নিজেই সেই প্রশ্ন তুলতে সহায়তা করছেন।
মধ্যরাতে ৪২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করালেন, ৩১ জনের নামে মামলা দিলেন। পুলিশ চোরের মতো তাদের লাঠিপেটা করে থানায় নিয়ে গেলো। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঘটল এসব ঘটনা। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১০ জন নারী শিক্ষার্থী! আপনি একজন নারী। নারী শিক্ষার্থী কী এমন ভয়ঙ্কর অপরাধ করলো যে, আপনি মধ্যরাতে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিলেন?
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটা অংশ যখন আপনার কাছে গিয়ে, শিক্ষার্থীদের রক্ষার দাবি জানালেন, মামলা তুলে নেওয়ার কথা বললেন, প্রকাশ পেলো আপনার দাম্ভিকতা।
‘মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়’- এই ছিল আপনার বক্তব্য! হয়তো অবাক হওয়া উচিত নয়। যে শিক্ষক-উপাচার্য তার সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের পুলিশ দিয়ে রক্তাক্ত করাতে পারেন, তিনি এমন কথা বলবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যোগ্যতা নয়, রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার যখন ‘উপাচার্য পদ’ তখন এমনটাই তো হওয়ার কথা। ভালো কিছু বা ন্যায়-ন্যায্য কিছু প্রত্যাশা করাটাই বোকামি।
৪. এবার আসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে। শিক্ষকদের সব রকমের নির্বাচন হয়। শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংসদ ‘ডাকসু’ নির্বাচন হয় না। শিক্ষকদের ‘সিনেট নির্বাচন’ চলাকালীন ‘ডাকসু’র দাবিতে আন্দোলন করছিল সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
ঢাবি ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভা মজুমদার বললেন, ‘আমরা সিনেট ভবনে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। এসময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ ও সহকারী প্রক্টর রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষক এসে আমাদের আন্দোলনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এসময় আমাদের নেতাকর্মীদের কিল-ঘুষি মারা হয়।’
বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর ডাকসু নির্বাচনের দাবিটি তো অন্যায় নয়। কিন্তু শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন। তরুণ শিক্ষকরা কিল-ঘুষি মারলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। অভিযোগ ‘সিনেট নির্বাচন’ চলাকালীন তারা ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। ঠিক আছে, ধরে নিলাম আপনারাই সঠিক বলছেন। শিক্ষার্থীরা অন্যায় করেছে। শিক্ষক হয়ে সেই অন্যায়ের শাস্তি দিলেন শিক্ষার্থীদের ‘কিল-ঘুষি’ মেরে?
ডাকসু নির্বাচন দেবেন না, নিজেদের নির্বাচন ঠিকই করবেন। আর শিক্ষার্থীরা চুপচাপ শুধু দেখবে? শিক্ষার্থীরা ডাকসুর দাবিতে আন্দোলন করলে তা অন্যায় হবে কেন? সিনেট নির্বাচন চলাকালীন, সিনেট ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে, তাও অন্যায় হবে কেন? শিক্ষার্থীদের নির্বাচন না দিয়ে নিজেরা সব রকমের নির্বাচন করছেন, এটা অন্যায় বা অনৈতিক নয়? অন্যায় বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করার অধিকার অবশ্যই শিক্ষার্থীদের আছে।
৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ এবং বুয়েট অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা বা অন্যান্য কাজ করে দিয়ে থাকে। তাদের সেই সক্ষমতা আছে। এই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা নেওয়ার কাজ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি ঠিকাদারি নিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে দেওয়ার। পরীক্ষার আগে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং প্রমাণ পাওয়া যায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের।
যে কোনোভাবেই হোক প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়তো হতেই পারে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে, পরীক্ষা বাতিল করা হবে, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হওয়ার কথা। কিন্তু সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ ক্ষমতাবান মানুষ। সরকারি দলের রাজনীতি করেন। প্রমাণ থাকলেই কী, তিনি পরীক্ষা বাতিল করবেন না। পরীক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে আদালতে গেলেন। আদালত নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিলেন। আদালতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করলেন শিক্ষক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ! আপিল বিভাগে গেলেন, ফল প্রকাশের অনুমতি দেওয়ার আর্জি নিয়ে। নীতি-নৈতিকতা বেচারা কোথায় পালালেন! ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে নেওয়া পরীক্ষার ফল প্রকাশের আদালতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্যে আদালতে ছোটাছুটি করছেন একজন শিক্ষক। তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, তিনি শিক্ষকদের নেতা!
৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ মেধাবী শিক্ষক ড. রিয়াজুল হক। কোনও কারণ না দর্শিয়ে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। ড. রিয়াজ নিরুপায় হয়ে গেলেন আদালতে। হাইকোর্ট বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করে দিলেন। আপিল বিভাগও বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখলেন। ড. রিয়াজের নামে মিথ্যা ‘অশ্লীল চিত্র’ প্রদর্শনের প্রচারণা চালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জানা যায়, ড. রিয়াজুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা, প্রপাগান্ডা চালানো এবং বহিষ্কার করানোর নেপথ্যের অন্যতম ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। সিনেট মূলত তার কারণেই ড. রিয়াজুলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়। আদালতে সেই কথিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হলো।
ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ যদি শিক্ষকদের নেতা হন, তবে তরুণ শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কিল-ঘুষি মারবেন, তা তো অস্বাভাবিক কিছু নয়।
৭. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান আরও চমকপ্রদ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। তার বাসভবনের সীমানা প্রাচীরের কাঁটাতার বিদ্যুতায়িত করার উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি একজন শিক্ষক, তিনি একজন উপাচার্য। তার বাসভবনের দেয়াল টপকে নাকি লোকজন ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। একজন উপাচার্য এতটা অনিরাপদ ভাবছেন নিজেকে! তিনি কি ভুলে যাচ্ছেন যে, তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কারাগারের কেয়ারটেকার নন। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানো, দেখেশুনে রাখা তার দায়িত্ব। কোনও সন্ত্রাসী আটকে রাখা বা পাহারা দেওয়া তার দায়িত্ব নয়। উপাচার্য হয়ে নিজেকে নিরাপদ না ভাবতে পারলে তিনি সেই পদে না থাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। নিজের বাসভবনকে কারাগার বানিয়ে নিরাপদ থাকার চিন্তা কি করতে পারেন! সীমানা প্রাচীর বিদ্যুতায়িত করা তো কোনও সুস্থ চিন্তা হতে পারে না।
আরেক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান। শিক্ষা নিয়ে তার কোনও লেখা চোখে পড়ে না। বিরোধী দলকে বিষাদ্গার করে লেখেন প্রতি সপ্তাহে। যে কাজ আওয়ামী লীগের নেতাদের করার কথা, সেই কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান। বনানী ধর্ষণের ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মেয়ে দু’জন রাত-বিরাতে কেন গেল’ ‘মেয়ের অভিভাবকেরা কেমন শিক্ষা দিলেন যে তারা রাত-বিরাতে হোটেলে যায়’। একজন শিক্ষক হয়ে তিনি দু’জন ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে এসব লিখছেন! তিনি গানম্যান পাচ্ছেন না বলে হা-হুতাশ করে কলাম লিখছেন।
৮. কারা উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন? কারা হচ্ছেন শিক্ষক নেতা? অস্ত্র হাতে ছবিওয়ালা ক্যাডাররাও হচ্ছেন শিক্ষক। তারাই নির্বাচন করছেন নেতা। উপাচার্য বা শিক্ষক নেতারা কখনও তরুণ শিক্ষকদের দিয়ে, কখনও সরকারি ছাত্র সংগঠনকে দিয়ে, কখনও পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের, সত্যিকারের শিক্ষকদের নির্যাতন, অপমান-অসম্মান করাচ্ছেন। সত্যিকারের শিক্ষক ড. রিয়াজুল হকদের বিতাড়িত করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। আদালতের শরণাপন্ন হয়ে কোনও ক্রমে তারা টিকে আছেন। টিকে আছেন, এখনও দায়িত্বশীল অভিভাবকরূপী কিছু শিক্ষক আছেন বলে।
‘উন্নয়ন’র গল্পে তো দেশ এগোবে না। শিক্ষা ধ্বংস করে, অন্যায়-অনৈতিকতার মানদন্ড তৈরি করে অধপতন ডেকে না যাবে। বাংলাদেশের শিক্ষার সব অঙ্গণে তেমনটাই করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০১:২৫ ৩৪০ বার পঠিত
Head of Program: Dr. Bongoshia
News Room: +8801996534724, Email: [email protected] , [email protected]