বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০১৭

খালেদা জিয়া: এই বাজেট লুটপাটের বাজেট

Home Page » জাতীয় » খালেদা জিয়া: এই বাজেট লুটপাটের বাজেট
বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০১৭



এই বাজেট লুটপাটের বাজেট : খালেদা জিয়াফাইল ফটো

বঙ্গ-নিউজ: ২০১৭-১৮ সালের জাতীয় বাজেটকে লুটপাট ও ক্ষমতাসীনদের চুরি করার সুযোগের বাজেট বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, এই বাজেট লুটপাটের বাজেট। এ বাজেটে আওয়ামী লীগের চুরি করার সুযোগ দিয়েছে। এ বাজেট তো আর অর্থমন্ত্রীর না। এ বাজেটও তৈরি হয় হাসিনার কথামত। কাজেই হাসিনা যা চান বাজেট তাই। আর এই বাজেট কি আর বাজেট থাকবে নাকি, পরে দেখবেন বিভিন্ন প্রকল্প বাজেট বাড়িয়ে নেবে।

আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এই ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

দ্বিতীয় দফায় ১ জুন থেকে কার্যকর হওয়া গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, এরা গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। চাউলের দাম এতো বেড়েছে যে, দেশের গরিব মানুষ খেতে পারে না। কাজেই আমরা মনে করি গ্যাসের দাম বাড়ানো বন্ধ করুন। গ্যাসের টাকাও হবে লুটের টাকা। এগুলো বন্ধ করেন, দেশের মানুষের দিকে একটু চান। এখনো কক্সবাজারে রিলিফ যায়নি। এখন পর্যন্ত সাহায্য দেওয়ার জন্য কেউ যায়নি।

আওয়ামী লীগের হাতে দেশ নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতিবাজ, খুনি, মিথ্যাবাদী, অত্যাচারী এটা পরিষ্কার। আওয়ামী লীগের হাতে দেশ সম্পদ কোনটাই নিরাপদ নয়।

অধঃস্তন আদালত পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগেরও আজ কি দুরাবস্থা। সেটা আমরা প্রধান বিচারপতির বক্তব্য পড়লেই বুঝতে পারি। সব তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন, এটাই তাদের উদ্দেশ্য লক্ষ্য। সেজন্যই আপনারা দেখেছেন এই সরকার কি শুরু করে দিয়েছে। বিচারকরা ন্যায় বিচার করতে চান। বিচারকরা সুবিচার দিতে চান। কিন্তু প্রধান বিচারপতির বক্তব্য থেকে আমরা বুঝেছি যে, আপনাদের নিম্ন আদালত পুরো সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে সরকার যে নির্দেশ দেয় বিচারকদের সেই নির্দেশ মেনে কাজ করতে হয় এবং সে রায় দিতে হয়। ’

তিনি আরও বলেন, যদি বিচারক দেখে যে বিচার প্রার্থী নিরপরাধ। তার সঙ্গে এ রকম করা ঠিক হবে না। ওই বিচারক যদি তার বিবেকমত রায় দেন তাহলে তাকে হয় চাকরিচ্যুত হতে হয় নয়ত দেশ ছাড়া হতে হয়। না হলে মামলা হামলা দিয়ে তার উপরে হয়রানি করা হয়।

সবার অংশগ্রহণে আবারও নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে ভয় পায় বিএনপির মত একটি দলকে। কারণ বিএনপি জনগনের ভোটে বার বার নির্বাচত হয়। এখনোও বিএনপি জনগণের ভোটে বিশ্বাস করে বলে আমরা বলেছি একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন হতে হবে। যেখানে সবাই অংশ গ্রহণ করবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে আমরাও তাদের মেনে নেব।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চাইলে সেই নির্বাচন থেকেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে ৫ জানুয়ারির মত আরেকটি নির্বাচন করতে। কিন্তু সেই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ অংশ গ্রহণ করবে না। কোন দল অংশ গ্রহণ করবে না। তারপরও যদি আওয়ামী লীগ জোর করে নির্বাচন করে তাহলে তাদের সেই নির্বাচন থেকেই বিদায় নিতে হবে।

বিএনপি ঘোষিত ভিশন ২০৩০ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা যে ২০৩০ ভিশন দিয়েছি। সেখানে দেশের প্রতিটি মানুষের কথা বলা আছে। আমরা সেটা শুরু করবো। তাহলে দেশ অনেক উচু স্থানে চলে যাবে। সম্মানের সঙ্গে থাকবে দেশ। ’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ‍ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৫:৩১   ৩২৬ বার পঠিত