বুধবার, ৩১ মে ২০১৭
জাপা সাংসদকে ক্ষমা চাইতে বললেন প্রতিমন্ত্রী
Home Page » জাতীয় » জাপা সাংসদকে ক্ষমা চাইতে বললেন প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গ-নিউজঃ সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম সংসদে অসত্য তথ্য দিয়েছেন দাবি করে তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
আজ বুধবার সংসদে মাঈদুল ইসলাম প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, পাটকলগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এগুলোর রক্ষায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, সংসদ সদস্য অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন। ওনারা ক্ষমতায় থাকাকালে পাটকে ধ্বংস করেছেন। পাটকে বেসরকারিকরণের নামে সব জুটমিল বিক্রি করে দেওয়া হয়। পাটচাষিদের পেটে লাথি দিয়েছেন। পাটের ঐতিহ্য ফিরে এসেছে, এটা ওনার পছন্দ হয় না। সাংসদ চোখে দেখেন না মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী সাংসদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই অসত্য তথ্য উপস্থাপনের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’
এরপর সম্পূরক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির দলীয় সাংসদ জিয়াউদ্দীন আহমদ বাবলু বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে পাটের বিকাশে চেষ্টা করেছে। এইচ এম এরশাদের সময় পাট রপ্তানি বেড়েছিল। বিএনপির সময়েই পাটশিল্প ধ্বংস করেছে, আদমজী বন্ধ করেছে। এসব তথ্য মন্ত্রণালয়েই আছে।
এরপর প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওই সাংসদ জাতীয় পার্টির সদস্য হিসেবে বলেছেন। যিনি অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন, তিনিও একসময় বিএনপির মন্ত্রী হিসেবে পাট মন্ত্রণালয়ে ছিলেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জুটমিলগুলো এরশাদের আমলে বেসরকারিকরণ করা হয়। সে সময় যে শর্তে বেসরকারিকরণ করা হয়, তার একটি শর্তও মিল মালিকেরা মানেননি।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাংসদ এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ইমান উদ্দিন প্রামাণিক সংসদে জানান, বিদেশে পাট রপ্তানির জন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি নেই। তবে আরেক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, বিশ্বের ১১৮টি দেশে পাটপণ্য রপ্তানি করা হয়।
মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সংসদে প্রশ্নের জবাব দেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ বেগম লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়ছে এবং কাঁচা পাটের চাহিদা ও মূল্য বাড়ছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে পাটপণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৬২ মেট্রিক টন। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার ৭১৮ মেট্রিক টন কম। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪৯ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
গাজীপুর-৩ আসনের সাংসদ মো. রহমত আলীর প্রশ্নের জবাবে সংসদে জানানো হয়, পাটচাষিদের জন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কোনো ঋণ দেওয়া হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৭:৫১ ২৮২ বার পঠিত