মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০১৭
‘মোরা’ মোকাবেলায় সাহায্য করতে চায় ভারতীয় সেনাবাহিনী
Home Page » জাতীয় » ‘মোরা’ মোকাবেলায় সাহায্য করতে চায় ভারতীয় সেনাবাহিনী
বঙ্গ-নিউজ: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া ‘মোরা’ নামের ঘূর্ণিঝড়টি শক্তিশালী আকার ধারণ করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় ঝড়ের পর যদি বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে চায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
আজ সোমবার ভারতীয় নৌ-বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ঝড় পরবর্তী যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় যদি বাংলাদেশের সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। নৌ-বাহিনীর পূর্বাঞ্চল বহরের জাহাজগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
বাতাসংস্থা এএনআই বলছে, ‘সামনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী আকার ধারণ করা ঘূর্ণিঝড় মোরা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও পাশ্ববর্তী দ্বীপগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ‘মোরা মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকা অতিক্রম করতে পারে।’
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূল থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলার ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলগুলো।
বাংলাদেশের পাশাপাশি মোরা’র প্রভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশসহ পশ্চিমবঙ্গেও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৮:২১:১৬ ২৭৪ বার পঠিত