মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০১৭
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক লাখ মানুষ
Home Page » প্রথমপাতা » ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক লাখ মানুষবঙ্গ-নিউজঃ প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ধেয়ে আসতে থাকায় মহাবিপদ সংকেত জারির পর দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর নিচু এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে চলছে মরিয়া চেষ্টা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, উপকূলীয় ১৯ জেলার মধ্যে দশটি জেলাকে তারা এই ঝড়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করছেন।
সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত এসব জেলার প্রায় তিন লাখ মানুষকে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে পেরেছেন এবং প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে।
প্রায় ২০০ কিলোমিটার ব্যাসের এই ঘূর্ণিঝড় সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের জন্য ১০ নম্বর এবং পায়রা ও মোংলা বন্দরের জন্য ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করে আবহওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরেরর পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার শক্তির ঝড়ো হাওয়া নিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোরা মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুপুরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে সন্ধ্যার মধ্যে ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার নির্দেশ দেয়। জেলায় জেলায় মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয় সে সময় থেকেই।
কিন্তু তখন সংকেত কম থাকায় এবং আবহাওয়া ততটা প্রতিকূল না হওয়ায় অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ দেখাননি বলে আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা জানান।
সন্ধ্যায় মহাবিপদ সংকেত জারি হলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেন। রাত ৮টার পর স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় বসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ আর গতি পায়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, রাত ১০টা নাগাদ শরণখোলা এবং মোংলা উপজেলার ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পেরেছেন তারা। এর মধ্যে শরণখোলার ৮২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩ হাজার এবং মোংলার ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ৪:৫৩:৪০ ২৮৫ বার পঠিত