বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০১৭
কলকাতায় বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ:আহত ৬০
Home Page » প্রথমপাতা » কলকাতায় বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ:আহত ৬০বঙ্গ-নিউজঃ কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে বিজেপির অভিযান কর্মসূচিকে ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজ্য কমিটির সাবেক সভাপতি রাহুল সিনহা এবং বিজেপি সাংসদ রূপা গাঙ্গুলিসহ কমপক্ষে ৬০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়সহ আরও কয়েকজন নেতা-কর্মীকে।বেলা একটার দিকে কলকাতার তিন দিক থেকে বিজেপির তিনটি বিশাল মিছিল লালবাজার অভিযানে অংশ নেয়। হাওড়া, কলেজ স্কয়ার ধর্মতলা থেকে আসা তিনটি মিছিলকে লালবাজারে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। মিছিল আটকানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। নিয়োগ করা হয় তিন হাজার পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স এবং র্যাফ। এ ছাড়া এই কর্মসূচিকে বাধা দিতে প্রস্তুত রাখা হয় জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল। প্রচণ্ড লাঠিপেটা করে পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিজেপি দাবি করেছে, পুলিশের এ হামলায় বিজেপির কমপক্ষে ৬০ জন নেতা-কর্মী রক্তাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৭ জনকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের বিভিন্ন নার্সিংহোম ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের (উত্তর) গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ছাড়া আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় আমহাস্ট স্ট্রিট থানার ওসির গাড়িতে। পাশাপাশি ব্রাবোর্ন রোডে ভাঙচুর করা হয় একটি সরকারি গাড়ি।
দুপুরে হাওড়া থেকে লালবাজার অভিযানের বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ব্রাবোর্ন রোডে এসে পুলিশের একটি ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলটি এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। প্রচণ্ড লাঠিপেটা করে পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে। এ মিছিল থেকে বোমা ফাটানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, মিছিল থেকে বোমা ফাটানো হয়নি। এসব বোমা ছুড়েছে রাস্তার পাশের একটি ধর্মীয় স্থাপনার ছাদের ওপর থেকে। ব্রাবোর্ন রোডে বিজেপির মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করা হয়। এখান থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দ্বিতীয় মিছিলটি আসে কলেজ স্কয়ার থেকে। এর নেতৃত্ব দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। লাঠিপেটা করে পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই মিছিল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং আরেক বিজেপি নেত্রী মীনা পুরোহিতকে।
তৃতীয় মিছিলটি আসে কলকাতার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল থেকে। এর নেতৃত্ব দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজ্য কমিটির সাবেক সভাপতি রাহুল সিনহা ও বিজেপি সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি। মিছিলটি বেন্টিক স্ট্রিটের সংযোগস্থলে এলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। বেধে যায় পুলিশের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ। আহত হন রুপা গঙ্গোপাধ্যায়সহ বিজেপির বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী ও সমর্থক।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫২:২৭ ৩০২ বার পঠিত