শুক্রবার, ১২ মে ২০১৭

“ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী বাংলাদেশের লিভিং লিজেন্ড-”জীবন্ত কিংবদন্তী” বললেন যুবরাজ আসিফ আকবর”

Home Page » বিনোদন » “ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী বাংলাদেশের লিভিং লিজেন্ড-”জীবন্ত কিংবদন্তী” বললেন যুবরাজ আসিফ আকবর”
শুক্রবার, ১২ মে ২০১৭



ওমর সানিঃবঙ্গ-নিউজঃ বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবরের কোন তুলনা নেই।  তার তুলনা তিনি নিজেই।  যুবরাজ আসিফ আকবর তার ফেসবুক পেইজ এ যা লিখলেন তা তুলে ধরা হল। তিনি বলেনঃ-fb_img_1494586825182.jpgলিজেন্ড শব্দটা যত বড় এবং অর্থবহ সেটির অপব্যবহার বাংলাদেশে তার চেয়েও বেশি। পত্রিকার পাতার পাতি লিজেন্ডদের চাপে আসল লিজেন্ডরা নিজেদের মধ্যেই গুটিয়ে থাকেন। স্কুল লেভেলে ক্রিকেট খেলার সময় পরিচয় কুমিল্লার অহংকার ক্লাসিক্যাল সিঙ্গার এবং দূর্দান্ত পেস বোলিং অলরাউন্ডার ইকরাম মোস্তাফিজ পপলু ভাইয়ের সঙ্গে । তারপর আমরা একসাথে খেলেছি লীগে, জেলা দল এবং তরুন ইউনিটি ক্লাবে । প্র্যাকটিস শেষে ইলেন দি’র বাসার বারান্দায় বসে পপলু ভাইয়ের গান শুনতাম । তিনি হারমোনিয়াম বাজিয়ে ওস্তাদ গুলাম আলী, মেহেদী হাসান এবং ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর গান গাইতেন । পপলু ভাই তখন ওস্তাদজী’র কাছে নিয়মিত তালিম নিতেন। ইলেন আপারা ছুটি কাটাতেন নোয়াখালীতে, বাসার নিরাপত্তা থাকতো আমার দায়িত্বে ।ঢাকায় এসে নিউমার্কেট থেকে ওস্তাদজী’র একটা ক্যাসেট কিনলাম । যেখানে- সুখ আমার শুকতারা , রাঙ্গামাটির রঙ্গে, আজ এই বৃষ্টির কান্না, জীবনানন্দ হয়ে সংসারে আজো আমি’র মত বিখ্যাত গানগুলো ছিলো । মন্ত্রমুগ্ধের মত গানগুলো শুনতাম ফিতায় এবং পপলু ভাইয়ের আদুরে কন্ঠে। আরেক জাঁদরেল মিউজিশিয়ান শান্তনু সালাহউদ্দিনের সাথে পরিচিত হলাম কাজের সুবাদে। তিনিও ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর শিষ্য । ওস্তাদজী’র একটা গান ছিলো –প্রেমেরই কবিতা হারিয়ে গেছে- এই গানটা শান্তনু সুর করেছিলেন ওস্তাদ জী’র জন্য। কোন কারনে গানটা তিনি আমাকে দিয়ে গাইয়ে ফেলেছিলেন । পরে শুনেছি ওস্তাদ’জী শান্তনুর উপর মহা ক্ষেপেছেন । যখনি শান্তনু বললেন গানটা আসিফ গেয়েছে, তখন আবার ওস্তাদজী খুশী হয়েছেন।

বিটিভিতে একটা শুটিংয়ে ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর সঙ্গে আমার প্রথম স্বপ্নময় সাক্ষাত । পায়ে ধরে সালাম করার সঙ্গে সঙ্গে বুকে জড়িয়ে ধরে একটি কার্ড দিয়ে বললেন- বাসায় এসো, আমি তোমাকে শেখাবো । আমি ওনার মেজাজ সম্বন্ধে আগেই জানতাম, আর যাইনি । যখন ক্রিকেট খেলা শিখিনি তখন ষ্ট্রাইক রেট ছিলো ২০০, শেখার পর দেখি আমার খেলা স্লো হয়ে গেছে, এই আশঙ্কায় গান আর শেখা হয়নি । ২১শে এপ্রিল মেরিল প্রথম আলো এ্যাওয়ার্ডে ওস্তাদজী গাইছিলেন লাকী ভাইয়ের সুরে “ আজ এই বৃষ্টির কান্না ” গানটি, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিলো অঝোরে, ঠিক সে সময় লাকী ভাইয়ের প্রানবায়ু উড়ে যাচ্ছিলো আকাশে। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বাংলাদেশ দেয়না- ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী এগুলোর ধার ধারেন না । তিনিই বাংলাদেশের লিভিং লিজেন্ড – “ জীবন্ত কিংবদন্তী ” ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:১০:১৮   ৫৭০ বার পঠিত