শুক্রবার, ১২ মে ২০১৭
বুড়িমারী স্থলবন্দরের সেই ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার!
Home Page » বিবিধ » বুড়িমারী স্থলবন্দরের সেই ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার!বঙ্গ নিউজঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম। হাতীবান্ধা থানা প্রতিনিধি :লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রিজভী আহমেদসহ সেই দুর্নীতিবাজ দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ বৃহস্পতিবার বিকালে পৌঁছালে বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস অফিসে তোলপাড় শুরু হয়।
এরা হলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস সহকারী কমিশনার রিজভী আহমেদ, রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবর রহমান ও শুল্ক গোয়েন্দা কাম সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এবাদত হোসেন চৌধুরী।
গত ৬ মে ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরে রোগীর রুপি কেড়ে নিল দুই কর্মকর্তা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস অফিসে তোলপাড় শুরু হয়।
প্রাথমিক তদন্তে বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবর রহমান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কাম শুল্ক গোয়েন্দা এবাদত হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি মামুনুর রশীদ চৌধুরি নামের এক ডায়াবেটিকস ও থাইরয়েড রোগীর নিকট থাকা ভারতীয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৯ শত ২০ রুপী ও একটি স্মার্টফোন কেড়ে নেয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রিজভী আহমেদসহ অপর দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস সহকারী কমিশনার রিজভী আহমেদ স্ট্যান্ড রিলিজের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আপাতত রংপুর কাস্টমস কমিশনার কার্যালয়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রংপুর কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ আহসানুল হকের ( মুঠোফোন-০১৭১১-১৩২৩০১) মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায, গত ৪ মে বৃহস্পতিবার ঢাকার কাফরুলের ৭৩০/২ ইব্রাহিমপুর এলাকার নাসির উদ্দিন চৌধুরির ছেলে মামুনুর রশীদ চৌধুরি ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন যান। বুড়িমারীতে বাংলাদেশি টাকাগুলো ভারতীয় রুপীতে ভাঙিয়ে নেন তিনি।
এরপর ইমিগ্রেশনের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে যাওয়ার সময় শুল্ক গোয়েন্দা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এবাদত হোসেন চৌধুরি তাকে ডেকে নিয়ে যান কাস্টমস অফিসে। সেখানে রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়। এসময় তার কাছে থাকা ভারতীয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৯ শত ২০ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন কেড়ে নেন শুল্ক গোয়েন্দা এবাদত হোসেন চৌধুরী ও রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবর রহমান। পরে তার কাছ থেকে মুচলেকা লিখে নিয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় ভারতের চ্যাংরাবান্ধা পার করে দিয়ে আসেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৬:৩৫ ৫০০ বার পঠিত