বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০১৭

“সৌভাগ্যের রজনী শবে- বরাত”

Home Page » ফিচার » “সৌভাগ্যের রজনী শবে- বরাত”
বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০১৭



fb_img_1494504353198.jpgওমর সানিঃ-বঙ্গ-নিউজঃ আজ পবিত্র শবে বরাত।

শব ‘শব্দের অর্থ রাত এবং আরবি ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে একে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’ যার অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে। সে অনুসারে আজ ১১মে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতটিই মুসলমানরা যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন।

এই মর্যাদাপূর্ণ রাতে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।

মহিমান্বিত এই রাতে সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন।

অনেকে এ দিনে রোজা রাখবেন।

দান-খয়রাত করবেন।

বিগত জীবনের পাপ মার্জনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহান বানী, যখন শাবানের ১৫তম রাতের আগমন ঘটে তখন তাতে কিয়াম (ইবাদত) করো আর দিনে রোযা রাখো । নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা সূর্যাস্তের পর থেকে প্রথম আসমানে বিশেষ তাজাল্লী বর্ষন করেন, এবং মহান আল্লাহ ডাকতে থাকেন-

কেউ আছ কি আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কারী? তাকে আমি ক্ষমা করে দিব!

কেউ আছ কি জীবিকা প্রার্থনাকারী?

তাকে আমি জীবিকা দান করব!

কেউ কি আছ মুসিবতগ্রস্ত?

তাকে আমি মুক্ত প্রদান করব!

কেউ এমন আছ কি!

কেউ এমন আছ কি!

এভাবে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ পাক তার বান্দাদেরকে ডাকতে থাকবেন।

এই বিশেষ রাতের ব্যাপারে পবিত্র আল-কুরআনে তেমন কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না।

তবে, সিয়াহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়খানা হাদিস গ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়।

এই রাতের কথা ইমাম তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, ঐ হাদিস মতে, এক রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদের(সাঃ) স্ত্রী আয়েশা ঘুম থেকে উঠে পড়লেন কিন্তু মুহাম্মদ(সাঃ) কে বিছানায় দেখতে পেলেন না। তিনি মুহাম্মদকে(সাঃ) খুঁজতে বের হলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দেখতে পেলেন।

মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, ১৫ শাবানের রাতে আল্লাহ সর্বনিম্ন আকাশে নেমে আসেন এবং [আরবের] কালব্ উপজাতির ছাগলের গায়ের পশমের থেকে বেশি লোককে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করেন।

উল্লেখ্য, সেসময় কালব্ গোত্র ছাগল পালনে প্রসিদ্ধ ছিল এবং তাদের প্রচুর ছাগল ছিল। এই হাদিসের নিচে ইমাম তিরমিযী উল্লেখ করেন, “হযরত আবু বকরও [রা.] এরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১২:১৫   ৪০৪ বার পঠিত