শনিবার, ৬ মে ২০১৭
আবারও অন্য গ্রহে বসতি স্থাপনে হকিংয়ের তাগাদা
Home Page » প্রথমপাতা » আবারও অন্য গ্রহে বসতি স্থাপনে হকিংয়ের তাগাদা
বঙ্গ-নিউজ: সামনের একশ’ বছরের মধ্যে অন্য কোনো গ্রহে মানুষকে বসতি স্থাপন করতে হবে, আর তা হলে বিলুপ্ত হওয়ার হুমকি মোকাবেলা করতে হবে- ফের এমন সতর্কতার কথা বললেন খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।
‘স্টিফেন হকিং: নতুন পৃথিবীর অভিযান’ নামে বানানো বিবিসি’র একটি প্রামাণ্যচিত্র চলতি বছরের শেষে প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রামাণ্যচিত্রে অধ্যাপক হকিং “অন্য গ্রহের বসতি স্থাপন প্রয়োজনের আগে মানবজাতির হাতে একশ’ বছর সময় আছে বলে অনুমান প্রকাশ করবেন তিনি”, চলতি সপ্তাহের শুরুতে এ কথা বলা হয়।
এর আগে হকিং বলেছিলেন, বিলুপ্ত হওয়ার আগে মানুষের হাতে সম্ভবত এক হাজার বছর রয়েছে। তার বলা সময়টা এবার আরও কমে এসেছে। শেষ কয়েক বছরে এ নিয়ে কয়েকবার সতর্ক করেছেন তিনি, বলা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।
২০১৬ সালের শুরুতে হকিং পারমাণবিক যুদ্ধের ভয়াবহততা, বিশ্ব উষ্ণায়ন, জিন-প্রকৌশলগত ভাইরাস আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে সতর্ক করেন।
বিবিসি’কে তিনি বলেন, “যদিও বলে দেওয়া কোনো বছরে পৃথিবীতে কোনো দুর্যোগ হওয়ার শঙ্কা হয়তো খুবই কম, কিন্তু এটি সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে আর এটি সামনের হাজার বা ১০ হাজার বয়সের মধ্যে প্রায় নিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
“এই সময়ের মধ্যে আমাদের মহাকাশে ছড়িয়ে পড়তে হবে, অন্যান্য গ্রহে, যাতে পৃথিবীতে কোনো দুর্যোগ হলেই মানবাজতির সমাপ্তি টানা না হয়।”
“যাইহোক, আমরা অন্তত সামনের একশ’ বছরের মধ্যে স্বনির্ভর বসতি প্রতিষ্ঠা করব না, এই সময়টায় আমাদেরে সতর্ক থাকতে হবে।”
মানবজাতির অস্তিত্বের হুমকি নিয়ে সতর্ক করেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে হকিংই এমন একমাত্র ব্যক্তি নন। এর আগে মার্কিন ধনকুবের ও প্রকৌশলী ইলন মাস্ক মানুষকে অবশ্যই কোনোভাবে যন্ত্রের সঙ্গে নিজেদের একীভূত করতে হবে, তা না হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর যুগে ঝুঁকি বেড়ে যাবে। টেসলা আর স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে এমনটা করার জন্য নিউরালিংক নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছেন।
এ ছাড়াও, নতুন প্রযুক্তি আর ইন্টারনেটের কারণে সমাজ কয়েক দশকের ‘ঝামেলার’ মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন আলিবাবা প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৮:০২ ৪২৮ বার পঠিত