শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

মাদারীপুরে ধান-পাটসহ রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » মাদারীপুরে ধান-পাটসহ রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭



মাদারীপুরে ধান-পাটসহ রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি        বঙ্গ-নিউজঃ গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে মাদারীপুর জেলায় বোরো-ইরি ধান, পাট ও রবিশস্য পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো বেশিরভাগ ধান-পাট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। দেরিতে আবাদ হওয়া রবি শস্যেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর বৃষ্টি না হলে পানি সরে যাবে এবং বোরো ধানের কোনো ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না বলে কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দুর্যোগকবলিত জমির পরিমাণ ছিল ৭৫ হেক্টর। ৩৪ হাজার ৮৯২ হেক্টর পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দুর্যোগকবলিত এক হাজার ৬৭৫ হেক্টর। গত কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ার পরও কৃষি অফিস বলছে এই পানিতে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। অথচ তাদের প্রতিবেদনে রয়েছে সম্পুর্ণ নিমজ্জিত জমি ৪৫০ হেক্টর আর আংশিক নিমজ্জিত জমি এক হাজার ২২৫ হেক্টর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী, পেয়ারপুর, আমবাড়ি, বড়বাড্ডা, বালিয়া খালপাড়, শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ী, মাদবরেরচর, বন্দরখোলা, রাজৈর উপজেলাসহ কালকিনি উপজেলার সমিতির হাট, কাশিমপুর ও আলীনগরসহ বেশ কয়েকটি নিম্ন অঞ্চলে ভারি বর্ষণের কারণে জমির পাকা ধান, পাট ও মেছতা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওইসব এলাকার ফসলি জমির বেশিরভাগ পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বেশিরভাগ কৃষক বছরে একবার চাষ করে পরিবারের সব খরচ চালান। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের জমিতে একবারের বেশি ফসল করা যায় না। তলিয়ে যাওয়া জমির অধিকাংশ এক ফসলি।

কৃষক জলিল, আলেপ, রহমত আলী, সিকিন আলী, সাত্তার হাওলাদার, সোবহান বেপারী, কামরুল হোসেন বলেন, “আমাগো ফসলের জমিতে যে পরিমাণ বৃষ্টির পানিতে ক্ষতি হয়েছে তা আমরা কি দিয়া পুষিয়ে নেব? এখনো অনেক পাকা, আধাপাকা ধান পানির নিচে। পাট সে তো এখনো তেমন বড় হয় নাই। তারপরও পানি নিচে রয়েছে বেশিরভাগ পাট। পানি স্থায়ী হলে এসব পচে যাবে। ”

মাদারীপুর জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “বৃষ্টিতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে যেখানে পানি জমে রয়েছে সেখান থেকে পানি সরানোর জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বরদের পরামর্শ দিয়েছি। যত তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা করা যায় এবং কোনো কৃষকের ধানের যেন ক্ষতি না হয়। আমরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সামনে কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। “

বাংলাদেশ সময়: ২১:১১:২৯   ৩৯৭ বার পঠিত