মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

মাছ ধরা শুরু হাকালুকি হাওরে

Home Page » জাতীয় » মাছ ধরা শুরু হাকালুকি হাওরে
মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭



হাকালুকি হাওরে মাছ ধরা শুরু

বঙ্গ-নিউজঃ অকাল বন্যায় ধান পচে এ্যামোনিয়া গ্যাসের সৃষ্টি হয়ে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে দেখা দেয় মাছের মড়ক। এতে গণহারে মারা যায় হাওরের ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। দীর্ঘ এক সপ্তাহ বন্ধ ছিলো হাওরের মাছ ধরা। ঢাকা মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিদর্শক মেরিনা পারভীন সরেজমিনে হাকালুকি হাওর পরিদর্শন করে মাটি ও পানি পরীক্ষা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানান।

পরে সোমবার (২৪ এপ্রিল) থেকে মৎস্যজীবিদের মাছ ধরার অনুমতি দেয় মৎস্য বিভাগ। ফলে হাওরের ধান ও মাছ পচা নিয়ে জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, অকাল বন্যায় ধান গাছ পচে এ্যামোনিয়া গ্যাসের সৃষ্টি হয়। পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে দেখা দেয় মাছের মড়ক। এতে গণহারে মারা যায় হাওরের ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

১৬ এপ্রিল হাওরে মাছ ধরার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য বিভাগ। মৎস্য বিভাগ দাবি করছে এশিয়ার বৃহৎ মিঠাপানির এই হাওরের শুধু মৌলভীবাজার অংশের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় মারা গেছে ২৫ মেট্রিক টন মাছ। যার বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকা।

কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ জানান, রবিবার ২৩ এপ্রিল বিকেলে মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিদর্শক মেরিনা পারভীন সরেজমিনে হাকালুকি হাওর পরিদর্শন করেন। তিনি হাওর থেকে পানি ও মাটি সংগ্রহ করে ঢাকায় মৎস্য অধিদফতরের পরীক্ষাগারে নিয়ে যান।

এদিকে সোমবার থেকে হাকালুকি হাওরে মৎস্যজীবিদের মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে করে ১৬ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিন হাকালুকি হাওরে মাছ ধরা বন্ধ ছিলো।

মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিদর্শক মেরিনা পারভীন জানান, হাকালুকি হাওরে ধান পচা ও মাছে মড়কের কারণ অনুসন্ধানে তিনি এসেছেন। কীটনাশক বা বিষাক্ত কিছুর কারণে মাছে মড়ক কিংবা ধানে পচন ধরেছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। ২-৩ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:০২:০৮   ৪৬২ বার পঠিত