মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

মানিকগঞ্জে ২০ হাজার একর জমির ফসল নষ্টের আশঙ্কা

Home Page » প্রথমপাতা » মানিকগঞ্জে ২০ হাজার একর জমির ফসল নষ্টের আশঙ্কা
মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭



মানিকগঞ্জে ২০ হাজার একর জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা  বঙ্গ-নিউজ: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বেলতা অর্ধগাড়িয়া থেকে উথলী সচিব মোড় পর্যন্ত খাল সংস্কার না করায় বোরো ধানের সেচ ও বৃষ্টির পানিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে শিবালয় উপজেলার অন্তত ১০টি মৌজার ২০ হাজার একর জমিতে আবাদকৃত ধান তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ফসলহানি ও বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছে।

জানা গেছে, চলতি বোরো মওসুমে শিবালয়ের জাফরগঞ্জ, গোয়াড়িয়া, মিরপুর, মালুচি, শুকনাই, ষাইটঘর, বাশাইল, জমদুয়ারা, তেঁতুলিয়া, সমেশঘর, নিহালপুর, কৃষ্ণপুর, উথলী, বেলতাসহ বিভিন্ন চকে বোরো ধান আবাদ করা হয়। কয়েক দফা প্রবল বৃষ্টি ও সেচকৃত পানিতে এ সকল চকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বিশেষ করে বোরো প্রকল্পে ব্যবহৃত সেচ যন্ত্রের সাহায্যে তোলা পানি উপচে পড়ে বিভিন্ন খাল, ডোবা-নালা দিয়ে নিম্নাঞ্চলে প্রবাহিত হয়। বিপুল পরিমাণ উদ্ধৃত্ব পানি সহজে নদী বা খালে প্রবাহিত হতে না পারায় নিচু জমির ধান ক্ষেত ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, এ সকল চকের পানি দক্ষিণ দিকে গড়িয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথলী ইন্টারসেকশন সচিব মোড় হয়ে পূর্ব দিকে ইছামতি নদীতে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, এ মহাসড়কের নাভানা সাইনবোর্ডের নিকট থেকে পূর্বদিকে অন্তত এক কিলোমিটার খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় সহজে পানি ইছামতি নদীতে যেতে পারছে না। তা সত্ত্বেও একশ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী ‘হাবির বাসা’ নামক স্থানে খালে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেওয়ায় পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়েছে। এর ফলে, বোয়ালী, আনুলিয়া, আড়পারা, কাশাদহ, দুবুলিয়াডাঙ্গা, চর ফরিদপুরসহ বিভিন্ন চকে অনুরূপ জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।

উথলী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান জানান, উথলী মোড় হতে পূর্ব-পশ্চিম দিকে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ খালে অন্তত ৪ থেকে ৬ ফুট গভীরতায় সরু খাল খনন করলে এ সমস্যা দূর হওয়া সম্ভব। দ্রুত পানি প্রবাহের ব্যবস্থা না করলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

শিবালয় ইউএনও কামাল মোহাম্মদ রাশেদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৮:৩২   ৩৭৯ বার পঠিত