সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

তিস্তার চরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

Home Page » বিবিধ » তিস্তার চরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭



বঙ্গ নিউজঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম। হাতীবান্ধা থানা প্রতিনিধি :তিস্তার বালু চর এখন আর অভিশাপ নয়। বালু চরে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তিস্তা পাড়ের হাজারও কৃষক এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। গতবারের বন্যা তিস্তার ভাঙনে হাজারও পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়ে। বালু পরে নষ্ট হয়ে যায় কয়েক হেক্টর ফসলি জমি। বন্যার পানির সঙ্গে আসা বালু জমিতে পতিত হয়ে জমিকে চাষের অনুপযোগী করে তোলে।
তবে কৃষকরা কঠোর পরিশ্রম করে জমির উপরের বালু মাটি তুলে এঁটেল মাটি বের করে চাষ করেন মিষ্টি কুমড়া, পিয়াঁজ, মরিচ, রসুন, খিরা, মশুর ডালসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। বালু চরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে অনেকে সাফল্যের মুখ দেখছেন। তিস্তার চরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখছেন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের তিস্তার চরের বাসিন্দা আব্দুল বাছেদ ( ৬০) ও একই গ্রামের জোহরা বানু (৪৫)। ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হলেও তারা বালুচর কেটে জমিতে চাষ করেন মিষ্টি কুমড়া আর খিরা। আশানুরূপ দাম পেলে সাফল্যের মুখ দেখবেন তারা।
সবাই যেখানে তিস্তা চরে ভুট্টা চাষ নিয়ে ব্যস্ত সেখানে কৃষক আব্দুল বাছেদ ভিন্নধর্মী ফসল চাষ করে ভিন্নতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এতে ভুট্টা চাষিদের চেয়ে অধিক লাভবান হয়েছেন তিনি।
তিস্তার চরের কৃষক আব্দুল বাছেদ বলেন, এবারে চরে মিষ্টি কুমড়া আর খিরা চাষে ৪০ শতক জমিতে তিন হাজার টাকা খরচ করেছি। মিষ্টি কুমড়া আর খিরা বিক্রি করেছি প্রায় ৮ হাজার টাকা। আগামী রমজান মাসে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করার জন্য মজুদ করে রেখেছি।
ভালো দাম পেলে বিক্রি করে দিব। আশা করছি আরও ২০ হাজার টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে পারবো। এবারে তিস্তার বালু চরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি জানান। হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, এ বছর হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তার চরসহ ৩৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে ৬০ মেট্রিক টন কুমড়ার ফলন হয়েছে। চরে এবার মিষ্টি কুমড়ার আশানুরুপ ফলন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৫:০২   ৩৫৭ বার পঠিত