শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০১৭

নির্বাচনের আগে শেষ ভারত সফরে শেখ হাসিনা

Home Page » জাতীয় » নির্বাচনের আগে শেষ ভারত সফরে শেখ হাসিনা
শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০১৭



Indien Sheikh Hasina mit Narendra Modi (picture-alliance/AP Photo/M. Swarup)

বঙ্গ-নিউজঃ প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ভারতের গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসিনার সফর নিয়ে রয়েছে জানা-অজানা নানা তথ্য৷
ভারতের রাষ্ট্রপ্রতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক কতটা গভীর তা নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকা৷ এতে দাবি করা হয়েছে, অতীতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে হাসিনাকে সরাতে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন যে চেষ্টা করেছিলেন, তাতে বাধ সেধেছিলেন প্রণব৷ বিস্তারিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতির নানা দিক এবং হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের বিরোধের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে৷

এদিকে, ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া লিখেছে, আগামী নির্বাচনে প্রবেশের আগে শেষ বারের মতো ভারত সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ পত্রিকাটির প্রতিবেদনে হাসিনার সফরের সময় বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে৷ ‘‘এটা পানিবিহীন সফর” - পত্রিকাটি নিজস্ব সূত্রগুলো থেকে এমনটাই জেনেছে বলে লেখা হয়েছে৷
তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতীয়রা যা ভাবছেন
সুস্মিতা সর্বাধিকারী, কবি ও সমাজসেবী

তিস্তা নদী ভারতের যে যে রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে জলবণ্টন চুক্তিতে সেই রাজ্যগুলির স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে আন্তর্জাতিক স্তরে চুক্তিবদ্ধ হওয়া আবশ্যক৷ তা না হলে অন্যান্য জলচুক্তির ক্ষেত্রে ভারত যে শিক্ষা পেয়েছে, এক্ষেত্রেও তা-‌ই হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অবস্থান সাধুবাদের যোগ্য৷

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক পঠিত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের শিরোনাম, ‘‘দিল্লি পৌঁছলেন হাসিনা, প্রোটোকল ভেঙে নিজেই বিমানবন্দরে হাজির মোদী৷” ভারতের বর্তমান শাসকদলের সঙ্গে হাসিনা সরকারের সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে একই ধরনের শিরোনাম ব্যবহার করেছে আরো কয়েকটি পত্রিকা৷ ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে যে, হাসিনাকে স্বাগত জানাতে মোদী তাঁর বাসভবন থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় দিল্লির কোনো রাস্তায় ট্রাফিক বন্ধ করা হয়নি, যা সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় করা হয়ে থাকে৷

প্রধানমন্ত্রী মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও হাসিনাকে স্বাগত জানানোর কথা বলা হয়েছে৷ এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷”

তবে ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন টুইটারে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে দেয়া পার্টিতে তাঁকে চাকুরি হারানোর ভয়ে নতুন দিল্লিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা আমন্ত্রণ জানাননি৷ তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিতে হাসিনা কোনো উদ্যোগ নেননি বলেও লিখেছেন নাসরিন৷

উল্লেখ্য, চারদিনের ভারত সফর শেষে আগামী ১০ এপ্রিল দেশে ফিরে যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৭:৪০   ৪২৩ বার পঠিত