রবিবার, ২ এপ্রিল ২০১৭

এবার কাল বৈশাখীর ঝুঁকি বেশি

Home Page » প্রথমপাতা » এবার কাল বৈশাখীর ঝুঁকি বেশি
রবিবার, ২ এপ্রিল ২০১৭



সম্পর্কিত চিত্রবঙ্গ-নিউজঃ গ্রীষ্মকালে ভারত ও বাংলাদেশে কাল বৈশাখী ঝড় হানা দেয়। এতে ক্ষতি হয়ে যায় বিপুল পরিমাণের ধন সম্পদ, ঘটে প্রাণহানীও। ২ এপ্রিল রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় যুক্তরাষ্ট্রের টর্নেডোর উপর প্রচারিত প্রতিবেদনে কাল বৈশাখী ঝড়কে এই উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এ ছাড়া বলা হয়, এবার কালবৈশাখীর ঝুঁকি একটু বেশি।

প্রতি বছর এপ্রিল ও মে মাসে বাংলাদেশের উপর দিয়ে মৌসুমী বায়ু প্রবাহের প্রভাবে হঠাৎ করে তীব্র বেগে বায়ু প্রবাহ শুরু হয়। একই সাথে শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত। ঝড়টি বাংলা বৈশাখ মাসে বেশি হয় বলে একে বৈশাখী ঝড় বলা হয়। এই ঝড়ের বেগ এতই বেশি হয় যে, টর্নেডোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শক্তিশালী টর্নেডোগুলো বেশি আঘাত হানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে। টর্নেডো দক্ষিণের টেক্সাস থেকে উত্তরের মিনেইসিটোর রাজ্যতে আঘাত হানে। ক্যানসাস রজ্যেও মারাত্মক আঘাত হানে টর্নেডো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট ছাড়া আরো এক জায়গায় হঠাৎ করে আঘাত হানে টর্নেডো। ভারতের পূর্বাংশের রাজ্যগুলো ও বাংলাদেশে টর্নেডোর ধ্বংসাত্মক চিত্র দেখা যায় প্রতিবছর। এ অঞ্চলে দ্রুত গতির এই ঝড়কে কালবৈশাখী বলা হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯৮৯ সালের টর্নেডোর আঘাতে মানিকগঞ্জ জেলার প্রায় দেড় কিলোমিটার প্রস্থ ও ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা জুড়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই টর্নেডোতে অন্তত ১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়, আহত হয় ১২ হাজার, ঘরবাড়ি হারায় আরও ৮০ হাজার মানুষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, যশোর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর অঞ্চলে টর্নেডোর আশঙ্কা বাড়ছে। জনবহুল দেশটিতে টনের্ডোর আঘাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট ক্ষতি হয়। সড়ক ও ব্রীজ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে ইরান ও তুর্কেমেনিস্তানের ওপর দিয়ে বয়ে আসা ঠাণ্ডা, শুষ্ক ও অধিক উচ্চতার বাতাস প্রবাহিত হয় দক্ষিণ হিমালয়ের চারপাশে। আবহাওয়ার এই ঠাণ্ডা ও শুষ্ক ভাব এবং উষ্ণ ও বৃষ্টিময় তাপমাত্রা ঝড়ের সৃষ্টি করে।

কয়েক দিন আগে সিলেট, সুনামগঞ্জ মৌলভীবাজার ও কুমিল্লা অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে এমন ঝড়ের প্রকোপ দেখা মিলেছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। গত কয়েকদিনে সেখানে ২৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ঝড়ের মাত্রা মারাত্মক আকার ধারণের ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্কতা জানানো হয় প্রতিবেদনটিতে। তবে মৌসুমী বৃষ্টিপাত বাড়লে এই টর্নেডোর ঝুঁকি কমে আসবে বলেও জানানো হয় আল জাজিরার ওই প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৪:৩৯   ৭৮১ বার পঠিত