মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭
বাংলাদেশ ব্যাংকের আগুন ইচ্ছাকৃত!
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » বাংলাদেশ ব্যাংকের আগুন ইচ্ছাকৃত!
বঙ্গ-নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলায় আগুন লাগার ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে আবারও আগুন লাগার ঘটনাস্থল ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ও তদন্ত দলের প্রধান সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগুনের ঘটনাটিকে স্যাবোটাজ বলেই মনে করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে কী ধরনের জিনিস ও ফাইলপত্র পোড়া গেছে, সেটা জানা গেলে স্যাবোটাজের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘লোকজনতো অনেক ধরনের ধারণা করে। যেকোনও আগুনেই মানুষ নানা কথা বলে। বাস্তবতা হচ্ছে অন্য জিনিস। ওখানে যখন আমরা তদন্ত শুরু করেছি তখন আস্তে আস্তে সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে আমরা বুঝতে পারবো ওখানে কোনও লোকজন গেছেন কিনা। ওখানে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন সবার জবানবন্দি নেবো।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান জানান, ব্যাংকের ফায়ার এলার্ম সিস্টেম ঠিক ছিল না। মাঝে মাঝে ফলস অ্যালার্মও দেয়। ওরা আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরে এলার্ম দিয়েছে। যেটা আমরা কন্ট্রোল রুম থেকে যোগাযোগ করার পর জানতে পারি।
এদিকে ঘটনাটি স্যাবোটাজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে কেপিআই। কিছু জায়গা আছে যেখানে আগুন লাগতে পারে না। তাহলে সেটা আর কেপিআই থাকলো না। এখন তদন্ত কমিটির মূল কাজ হচ্ছে আগুনের মোটিভটা বের করা। কী কারণে আগুন লেগেছে, কী জিনিসপত্র পুড়েছে, কী ধরনের ফাইলপত্র পুড়েছে তাহলে বোঝা যাবে তারা স্যাবোটাজ করল কিনা।
তিনি বলেন, প্রত্যেক বছরই ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কেপিআই’র লোকদের ফায়ার ফাইটিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারপর কেপিআই হিসেবে ওদের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং সিস্টেমও আছে।
তিনি বলেন, কেপিআই হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি টাকার ফায়ার ইকুইপমেন্ট দেওয়া হয়েছে। এগুলো কেন তারা কাজে লাগাতে পারল না। ওখানে ফায়ার সেফটি সেল আছে। ওই সেলে একজন অফিসার আছেন। তারা কী করলেন।
এই ঘটনায় জবাবদিহিতা দরকার উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা আছে। তারা ব্যর্থ হবে। আর প্রত্যেকবারই তারা পার পেয়ে যাবে, এটা হতে পারে না। এর জবাবদিহিতা তাদের করতেই হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলায় আগুন বৈদ্যুতিক চায়ের কেটলি শর্ট সার্কিট থেকে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট রাত ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ৮:১২:৩৪ ৩৬৯ বার পঠিত