শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গবন্ধুর মূর্তি সরানোর দাবি কঠোর ভাষায় নাকচ করেছেন

Home Page » প্রথমপাতা » মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গবন্ধুর মূর্তি সরানোর দাবি কঠোর ভাষায় নাকচ করেছেন
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭



statue of bangabondhuবঙ্গ-নিউজঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্রজীবনের স্মৃতি বিজড়িত কোলকাতার বেকার হোস্টেলে স্থাপিত তাঁর একটি আবক্ষ মূর্তি সরানোর দাবিকে অযৌক্তিক বলে সে সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ সময় তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদেরও প্রেরণা। বঙ্গবন্ধু দুই বাংলার কাছেই শ্রদ্ধেয় ও স্মরণীয়। তার স্মৃতি সংরক্ষণ করাও আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এ নিয়ে কোনো বিরোধিতাকে সহ্য করা হবে না। কেউ প্রতিরোধ তৈরি করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, কোলকাতার বেকার হোস্টেলে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ মূর্তি সরানোর দাবি তোলেছে হোস্টেলটির ছাত্রদের একাংশ। হোস্টেলটিতে শুধু মুসলমান ছাত্ররাই থাকে।

গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওই ভাস্কর্য সরানোর দাবি নিয়ে কোলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে যাওয়ার চেষ্টা করে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের ব্যানারে হোস্টেলটির ছাত্রদের একাংশ। তবে বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস কর্তৃপক্ষ তাদের দাবিনামা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

ছাত্রজীবনে বেকার হোস্টেলের যে কক্ষটিতে বঙ্গবন্ধু থাকতেন সেই কক্ষটিকে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ওই সংগ্রহশালার প্রবেশমুখে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি তার মেয়াদকালে এটি উদ্বোধন করেন।

পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন জানায়, হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে সংগ্রহশালা রয়েছে তাতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু একটি মুসলিম হোস্টেলে কারও মূর্তি থাকাটা তাদের কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে। এছাড়া ইদানিং ওই ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে পূজা করা হচ্ছে বলেও জানায় তারা। তাই তারা চান, হোস্টেল থেকে মূর্তিটি সরিয়ে নেয়া হোক।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ওই ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপরই মূলত হোস্টেলের ছাত্ররা ভাস্কর্যটিকে সরিয়ে নেয়ার দাবি জানায়।

বাংলাদেশ সময়: ৮:২৬:২৪   ৪২৪ বার পঠিত