বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলা চলবে

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » খালেদা জিয়ার নাইকো মামলা চলবে
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭



 

 

Image result for high court of khaleda zia

(ফাইল ছবি)

বঙ্গ-নিউজঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে হাই কোর্টের দেওয়া রুলও নিষ্পত্তি করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

আদেশের পর দুদকের আইনজীবী বলেন, “এই আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম চলতে আর কোনো বাধা নেই।”

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পরের বছর ৫ মে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোপত্রে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে গেলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্ট। সাত বছর পর রুল শুনানি করে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে খালেদাকে জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। আপিল বিভাগেও ওই আদেশ বহাল থাকে।

মামলাটি বর্তমানে ঢাকার নয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি পর্যায়ে রয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও দলটির নেতা মওদুদ আহমেদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ এ মামলার আসামি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সালিশি আদালতে পেট্রোবাংলা, বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর চুক্তি ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিরোধের মামলা চলার কারণ দেখিয়ে গতবছর হাই কোর্টে যান এ মামলার আসামি মওদুদ।

এরপর গত ১ ডিসেম্বর হাই কোর্ট মওদুদের বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। দুদক এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকে।

মওদুদের মতই সালিশি আদালতের যুক্তি দেখিয়ে নিম্ন আদালত ঘুরে হাই কোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এ বিষয়ে শুনানি করে বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ গত ৭ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ ও রুল দেয়। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না- তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে বলা হয় বিবাদীদের।

এই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক চেম্বার আদালতে গেলে গত ১২ মার্চ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি বৃহস্পতিবার আপিল বেঞ্চে উঠলে হাই কোর্টের আদেশ বাতিল হয়ে যায়।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, হাই কোর্টে দুদকের মামলা শোনার জন্য বেঞ্চ ঠিক করে দেওয়া আছে। যে বেঞ্চ নাইকো মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, তাদের এ বিষয়ে শুনানি করার এখতিয়ার ছিল না বলে তারা আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন।

“বিষয়টি আমলে নিয়ে আপিল বিভাগ আজ স্থগিতাদেশ ও রুল বাতিল করে আদেশ দিয়েছেন।”

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৩:৫০   ৪০৭ বার পঠিত