বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০১৭
ফখরুদ্দিন-মঈনের আমলে নেয়া অর্থ ফেরত দিতে আদালতের নির্দেশ
Home Page » প্রথমপাতা » ফখরুদ্দিন-মঈনের আমলে নেয়া অর্থ ফেরত দিতে আদালতের নির্দেশবঙ্গ-নিউজঃ ওয়ান ইলেভেনের সময় গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করা ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকার প্রায় ৫০ শতাংশ ফেরত দেয়ার রায় দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশানুযায়ী ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকার মধ্যে ৬১৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যবসায়ীদের ফেরত দিতে হবে।
এর আগে ব্যবসায়ীদের অর্থ ফেরত দিতে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার আপিল বেঞ্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আপিল খারিজ করে দেন।
২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা আদায় করেন। এ টাকা সঠিকভাবে ও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদায় করা হয়নি - এই যুক্তিতে অর্থে ফেরত পেতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে রিট আবেদন করা হলে হাইকোর্ট রিটকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন।
রিটকারী এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা অর্থের পরিমাণ ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে, কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ড (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ২৩৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, এস আলম স্টিল লিমিটেডের ৬০ কোটি টাকা। ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের ১৭ কোটি ৫৫ লাখ, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ৩৫ কোটি, ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টস (প্রাইভেট) লিমিটেডের ১৮৯ কোটি, মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ৫২ কোটি, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ১৫ কোটি টাকা ও বোরাক রিয়েল এস্টেটের ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ইউনিক ইস্টার্ন (প্রাইভেট) লিমিটেডের ৯০ লাখ, ইউনিক সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিজের (প্রাইভেট) ৭০ লাখ এবং মো. নূর আলী ও অন্যদের কাছ থেকে ৬৫ লাখ টাকা।
এছাড়া যারা রিট করেননি, তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৯ কোটি ৪৫ লাখ, এবি ব্যাংকের ১৯০ কোটি, এবি ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ৩২ কোটি, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের ৩২ কোটি ৫০ লাখ, যমুনা গ্রুপের ৩০ কোটি, এমজিএইচ গ্রুপের ২৪ কোটি ও এলিট পেইন্টের ২৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংকের ৩৯ কোটি, কবির স্টিল মিলসের ৭ কোটি, কনকর্ড রিয়েল এস্টেটের ৭ কোটি, কনকর্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৮ কোটি, পিংক সিটির ৬ কোটি ৪১ লাখ, স্বদেশ প্রপার্টিজের ৯ কোটি, আশিয়ান সিটির ১ কোটি, সাগুফতা হাউজিংয়ের ২ কোটি ৫০ লাখ, হোসাফ গ্রুপের ১৫ কোটি, পারটেক্স গ্রুপের ১৫ কোটি ও ইসলাম গ্রুপের ৩৫ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর ২ কোটি ২০ লাখ, ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের ১৭ কোটি, আবু সুফিয়ানের ১৪ কোটি, শওকত আলী চৌধুরীর ৬ কোটি, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের ১৫ কোটি, বিএনপির সাবেক এমপি সালিমুল হক কামালের ২০ কোটি, ওয়াকিল আহমেদের ১৬ কোটি, গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ২০ কোটি ৪১ লাখ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান পারভীন হক সিকদারের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা নেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫১:০৬ ৩৯৬ বার পঠিত