বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭
সাবমেরিন কী সুবিধা দিবে বাংলাদেশকে?
Home Page » প্রথমপাতা » সাবমেরিন কী সুবিধা দিবে বাংলাদেশকে?
বঙ্গ-নিউজ: সারাদেশে এখন আলোচনার প্রধান বিষয় গত রোববার বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সদ্য যোগ হওয়া নতুন সাবমেরিন। চীন থেকে আমদানি করা সাবমেরিন দুটির নাম নবযাত্রা ও জয়যাত্রা। নব্বইয়ের দশকে তৈরি হওয়া সাবমেরিন দুটি সামগ্রিকভাবে দেশের কৌশলগত সামরিক শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ এশিয়া এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে সাবমেরিন নেই, নেই প্রতিবেশি মিয়ানমারেরও। এছাড়া শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডেরও নেই সাবমেরিন। তবে ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার ভালো মানের সাবমেরিন আছে।
সাবমেরিনের বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ বলেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশের সাবমেরিন কেনার ঘটনাটির বেশ ইতিবাচক দিক রয়েছে। যা বাংলাদেশের সামর্থকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে কার সাবমেরিন আছে, কার নাই এটা কোন বিষয় নয়। যুদ্ধ করার মানসিকতা নিয়েও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেনেনি। নৌপথ সীমা নিরাপদ রাখতেই এই উদ্যোগ। সাবমেরিন যুগে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের নৌ-বাহিনী ত্রিমাত্রিকতার দিকে প্রবেশ করলো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সমুদ্রসীমা এবং সমুদ্র সম্পদ পাহারায় অবশ্যই সাবমেরিনের প্রয়োজন আছে। যখন শত্রুরা এবং সাগরের জলদস্যুরা সাবমেরিনটির সক্ষমতা সম্পর্কে জানবে তখন তারা সংযত হবে।’
সাবমেরিনটি প্রায় ১৫/২০বছর আগে তৈরি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চীন থেকে আমদানি করা সাবমেরিন পুরনো এটা সত্যি। সাবমেরিন দু’টি নব্বইয়ের দশকে তৈরি হলেও এগুলো নবায়ন করা হয়েছে। নতুন করে শক্তি দেয়া হয়েছে। এটির সামর্থ কমেনি।’
রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাবমেরিনগুলো কনভেনশনাল। এগুলোকে পুরনো বলার সুযোগ নেই। পৃথিবীর অনেক শক্তিধর রাষ্ট্র এর চাইতে আরো পুরনো সাবমেরিন এখনও ব্যবহার করছে।’
সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সাবমেরিনের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এটিকে সহজে চিহ্নিত করা যায় না, প্রায় অসম্ভব। এটি ‘ডিটারেন্স’ হিসেবে কাজ করবে। শত্রুপক্ষের জন্য এটি আতঙ্ক। সিঙ্গাপুরেরও সাবমেরিন আছে ফলে মালয়েশিয়া তাদের সমীহ করে। বাংলাদেশও এমন সুবিধা পাবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১২:১৭ ৩৮৯ বার পঠিত