বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭

অভিনব কায়দায় কয়েক শ’ কোটি টাকার বাড়ি দখল, সর্বোচ্চ আদালতে রক্ষা

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » অভিনব কায়দায় কয়েক শ’ কোটি টাকার বাড়ি দখল, সর্বোচ্চ আদালতে রক্ষা
বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭



বঙ্গ নিউজঃ 203564_187.jpgভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী নাগরিকের পক্ষে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির নেয়ার কথা বলে ধানমন্ডির কয়েক শ’ কোটি টাকা মূল্যের একটি সরকারি বাড়ি দখলের পাঁয়তারা চালানোর প্রক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশের একজন ইন্সপেক্টর ও একজন ইঞ্জিনিয়ারকে জরিমানা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জরিমানাপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তি হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন ও পুলিশ ইন্সপেক্টর মো: শাহিন।
ধানমন্ডিস্থ ৬ নম্বর রোডে অবস্থিত কয়েক শ’ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাড়ির দাবিদার দু’জনকে পৃথক পৃথকভাবে দুই শ’ টাকা করে জরিমানা করে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
ভুয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বিষয় নজরে আসায় এর আগে আদালত যারা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে সম্পদটির দাবি করছেন তাদেরকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার তারা হাজির হলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দাবিদার দুজনকে জেরা করেন আদালত। জেরার মুখে তারা ওই বাড়ির মূল মালিকের নাম বলতে পারেনি। আদালতের কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেনি। তাদের বিষয়ে আদালত মন্তব্য করেন একজন ইঞ্জিনিয়ার তিনি একজন চালাক লোক, প্রতারক। আর পুলিশ ইন্সপেক্টর মো: শাহিন তার পেশাগত দায়িত্বের বাইরে এ কাজে যুক্ত হওয়া তার নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করা খুবই অন্যায় কাজ হয়েছে।
শুনানির সময় আদালত বলেছেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে যারা সম্পদ ছাড়িয়ে নেয় তাদের বেশির ভাগই ভুয়া। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে যে সমস্ত সম্পত্তি ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। এ বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখা দরকার। ধানমন্ডির একটি বাড়ি, সরকার যেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল। সেই বাড়ির বিষয়ে একটি মামলা আপিল বিভাগে ছিল। কিছু ব্যক্তি এই বাড়িটি তাদের নিজস্ব সম্পদ দাবি করে। তারা ভারত থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে পরিত্যক্ত বাড়িটিকে নিজেদের করে নিতে চাইছিল।
আদালতের সামনে যে দুজন বাড়িটির দাবি এসেছিলন আদালত দেখতে পেয়েছেন, তারা বাড়ীটি আত্মসাতের চেষ্টা করছিল। এ দুজনকে প্রকাশ্য আদালতে আজকে দুই শ’ টাকা করে জরিমানা করেছিল। জরিমানা না করলে তাদেরকে জেলে পাঠানো হতো। তারা জরিমানার টাকা আদালতেই জমা দিয়েছে।
এ আদেশের ফলে এই পরিত্যক্ত বাড়ীটির বিষয়ে সরকার জয় লাভ করেছে। এ সম্পদ এখন পরিত্যক্ত বাড়ি হিসেবে বিবেচিত হবে। বাড়িটি হলো ধানমন্ডির ৬ নম্বর রোডের হোল্ডিং নাম্বার ৪০। এই বাড়িটির মূল মালিক বলে কিছু লোক দাবি করছিল। যে আমরা ভারতে থাকি। ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এনেছেন। তিনি তার এক আত্মীয় পুলিশ ইন্সপেক্টর মো: শাহিনের নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এনেছেন। আদালত এ দুজনকে জেরা করে এ সিদ্ধান্তে পৌছাছেন তারা এ সম্পদটি আত্মসাৎ করার জন্য এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন। প্রকাশ্য আদালতে প্রতারক চিহ্নিত করা এবং জরিমানা করে রেয়ার কেস।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তাদের অন্যকোন পানিশমেন্ট হবে কি না সেটা ডিপার্টমেন্ট দেখবে। আমারতো মনে হয়, কোনো সরকারি চাকরিজীবির যেকোনো দণ্ডিত হলে তার চাকরি থাকার কথা না।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৬:৫৫   ৩৮৪ বার পঠিত