সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান হলেন পেরেজ

Home Page » বিশ্ব » ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান হলেন পেরেজ
সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭



টম পেরেজ। ছবি: রয়টার্স টম পেরেজ। ছবি: রয়টার্সটম পেরেজ। ছবি: রয়টার্স

বঙ্গ-নিউজঃ যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন টম পেরেজ। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের শ্রমমন্ত্রী ছিলেন।

স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা নগরে ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটির এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন লাতিনো ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান নির্বাচিত হলেন।

গত বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারের পর বিপর্যস্ত ডেমোক্রেটিক পার্টি পুনর্গঠনের দায়িত্ব এখন পেরেজের ওপর। তিনি রিপাবলিকান পার্টির বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও মোকাবিলা করবেন।

প্রথম মুসলিম কংগ্রেসম্যান কিথ এলিসনের সঙ্গে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর দ্বিতীয় পর্বের ভোটে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পেরেজ। পেরেজ পেয়েছেন ২৩৫ ভোট। আর এলিসন পেয়েছেন ২০০ ভোট।

দলের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে পরাজিত এলিসনকে ডেমোক্রেটিক পার্টির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন মুসলমান ডেমোক্রেটিক পার্টির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পেরেজ ও এলিসন আগামী চার বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।

গত বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে যায়। ওবামার শাসনামলে রিপাবলিকান পার্টিকে নেতৃত্বহীন মনে হয়েছিল। আমেরিকায় বেড়ে ওঠা অভিবাসী ও নিম্নবিত্তদের সঙ্গে সংযোগহীন রিপাবলিকান পার্টিকে ২০১৫ সালেও বিভ্রান্ত মনে হয়েছে।

৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানে আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ভিন্ন বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে। পছন্দের হেরফের হলেও আমেরিকার রক্ষণশীলদের উসকে দিতে পেরেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে শুরু করে কংগ্রেস ও সিনেট এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে।

ভিন্ন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময়ে পার করছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামার প্রস্থানের পর দলের বিধ্বস্ত অবস্থা প্রকাশ্যে ফুটে ওঠে। হিলারি ক্লিনটনের পেছনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাতিষ্ঠানিক নেতারা থাকলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি।

নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাট-সমর্থকদের ঝাঁকুনি দিতে সক্ষম হয়েছিলেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। অতি উদার নৈতিকতার দিকে দলের ঝুঁকে পড়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেন স্যান্ডার্স। হিলারি প্রাতিষ্ঠানিক ডেমোক্র্যাটদের দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণি পার পেতে চেয়েছিলেন বলে দলের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।

মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের প্রথম মুসলমান সদস্য কিথ এলিসন উদারনৈতিক ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রচার চালান। গতকাল আটলান্টায় অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ দলের নেতৃত্ব পান পেরেজ।

দলের জাতীয় কমিটির উদ্দেশে পেরেজ বলেছেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসের সংকটে ভুগছি, ভুগছি প্রাসঙ্গিকতার সংকটে।’

ডেমোক্রেটিক পার্টির তৃণমূলকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেছেন পেরেজ। একই সঙ্গে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য পেরেজ দ্রুততার সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে এলিসনের নাম ঘোষণা করেন।

বর্তমান রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন পেরেজ-এলিসন জুটি।

বাংলাদেশ সময়: ০:৪৩:২৪   ২৯৯ বার পঠিত