মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৭
মৃত ব্যক্তিদের থেকে কিডনি সংগ্রহে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান
Home Page » প্রথমপাতা » মৃত ব্যক্তিদের থেকে কিডনি সংগ্রহে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান
বঙ্গনিউজঃ দেশের শতকরা ১৭ ভাগ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিন্তু রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ছাড়া কিডনি দানে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকের দু’টি কিডনি বিকল হলেও প্রতিস্থাপন করা যায় না। তাই মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কিডনি সংগ্রহে সচেতনতা বাড়াতে। আর তা করতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিল্টন হলে ‘৫০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে শতকরা ১৭ শতাংশ মানুষ ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছেন। এর মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ হাজার রোগীর কিডনি স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে পরে। এরও মাত্র ২০ ভাগ রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির আওতায় আসে। বাকিরা চিকিৎসার বাইরে থেকে যায়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে কিডনি দেওয়ার মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। দেশে বাবা-মা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, চাচা, ফুফু, মামা, খালা, স্বামী-স্ত্রীর মতো নিকট আত্মীয়রাই কেবল কিডনি দিতে পারে কাউকে। কিন্তু এ সংক্রান্ত আইনে সংশোধন এনে কিডনির ডোনারের পরিসর বাড়াতে বলে মন্তব্য করেন কিডনি বিশেষজ্ঞরা।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণসহ নানা কারণে মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। কিন্তু রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ছাড়া কিডনি দান করা যায় না। এমন আইনি বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে কারও কারও ক্ষেত্রে দু’টি কিডনি বিকল হলেও প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় না।
মৃত ব্যক্তিদের থেকে কিডনি নেওয়া গেলে এ সংকট দূর করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। তবে এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তারা। এ কাজে তারা ধর্মগুরু, শিক্ষক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তারা বলেন, সারাদেশের মানুষের মধ্যেই এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিএসএমএমইউতে এ পর্যন্ত ৫০৫টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৯৮২ সালে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় এখানে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসায় আমাদের দেশে খরচ পাশের দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম বলে জানান বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা শহীদুল্লাহ শিকদার, প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনকারী চিকিৎসক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহহাব, কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শহীদুল হক সেলিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৯:৩৫ ৪০২ বার পঠিত
Head of Program: Dr. Bongoshia
News Room: +8801996534724, Email: [email protected] , [email protected]