শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৭
লালমনিরহাটে আলু চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকের!
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » লালমনিরহাটে আলু চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকের!বঙ্গ নিউজঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম। হাতীবান্ধা থানা প্রতিনিধি : লালমনিরহাটে আগাম জাতের আলু চাষ করেও লোকসান গুনতে হচ্ছে আলু চাষিদের। মৌসুমের শুরুতে কিছুটা দাম থাকলেও এখন প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা দরে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন আলু চাষিরা। কৃষি বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি বছর লালমনিরহাট জেলায় ৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমি। জেলার আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলার ১০-১২টি গ্রামে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়। আলুর আবাদও হয়েছে ভালো। মৌসুমের শুরুতে বাজারে প্রতি কেজি আলু ৩০-৩২ টাকা দরে বিক্রি হয়। ক্রমান্বয়ে আলুর দাম কমতে কমতে ১৫-২০ টাকায় পৌঁছায়। এদিকে গত এক সপ্তাহ থেকে সে দাম আরো কমে গিয়ে ৮-১০ টাকায় এসে পৌঁছেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার দ. গড্ডিমারী গ্রামের কৃষক ইসলাম হোসেন জানান, তিনি এবার এনজিও থেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে ২ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেন। উৎপাদনও হয়েছে বেশ ভালো। আলু আসতে দেরি হওয়ায় তিনি এখন মহাবিপদে পড়েছেন। বাজারে আলুর দাম না থাকায় না পারছেন এনজিওর ঋণের কিস্তি দিতে, না পারছেন আলু মজুদ করতে। ওই গ্রামের আলু চাষি সাদেকুল ইসলাম জানান, তার দুই বিঘা জমিতে আলুর ফলন হয়েছে বেশ ভালো। বস্তা করা পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারমূল্য হিসাবে আলুর দাম ২৬ হাজার টাকা। এ অবস্থায় মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান দিচ্ছেন তিনি। লালমনিরহাট কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিদু ভূষণ রায় জানান, জেলার আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে বেশ। বর্তমানে বাজারে দাম না থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না। এভাবে চলতে থাকলে জেলায় কৃষকদের আলু চাষের উৎসাহ কমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৬:৩৩ ৪০৯ বার পঠিত