বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৭

হাতীবান্ধায় মহাসড়ক দখল করে পানি নিস্কাশন করছের একটি মহল |

Home Page » বিবিধ » হাতীবান্ধায় মহাসড়ক দখল করে পানি নিস্কাশন করছের একটি মহল |
বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৭



114.jpgবঙ্গ নিউজ: মোঃ শরিফুল ইসলাম। হাতীবান্ধা থানা প্রতিনিধি : লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের উপর বালুর বস্তাসহ সেচ পাম্প বসিয়ে ডোবার পানি নিস্কাষণ করা হচ্ছে ।
এতে করে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া নামক স্থানে ওই মহাসড়কের প্রায় অর্ধেক অংশ দখল হওয়ায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে সড়কে যাতায়াতকারী লোকজন।
তবে এনিয়ে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়ক দখল করা ওই সেচ পাম্প ও বালুর বস্তা সরিয়ে দিলেও প্রতিবারই তা পূণঃস্থাপান করে ডোবার পানি নিস্কাশন অব্যাহত রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭ দিন ধরে মহাসড়কের অর্ধেক স্থানে কয়েকটি বালুর বস্তার সাথে সেচ পাম্প বসিয়ে সড়কের পাশের বিল থেকে পানি নিস্কাশন করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে ওই স্থান দিয়ে যানবাহন চলাচলে মারাত্বক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-ভুটান নেপালসহ তিন দেশের পন্য আমাদানি-রপ্তানির একমাত্র পথ হচ্ছে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পন্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যাতায়াত করে আসছে। সেই ব্যস্ততম একটি সড়কের অর্ধেক অংশ দখল করে সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করায় দুর্ভোগে পড়েছে যাতায়াতকারীরা।
সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী বাস ও ট্রাকের কয়েকজন চালক জানিয়েছেন, সড়কের অর্ধেক অংশ বন্ধ থাকায় প্রায় সময় জনযটের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি রাতের বেলায় ঘন কুয়াশার কারণে ওই স্থানের বালুর বস্তা ও সেচ পাম্পটি ঠিকমত চোখে পরছে না। তাই যেকোন মুহুর্তে দুর্ঘটানার আংশকা করছে চালকরা।
জানতে চাইলে হাতীবান্ধা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ প্রসূন কুমার সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় বারের মতো ওই সেচ পাম্প ও বালুর বস্তাগুলো সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরেও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে বুধবার বিকেলে ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আপাতত পানি নিস্কাশন বন্ধ থাকলেও সড়কের উপর থেকে বালু ও সেচ পাম্প এখনও সরিয়ে ফেলা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪০:৫২   ৩৭৭ বার পঠিত