শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৭

আজ প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালী যাচ্ছেন

Home Page » জাতীয় » আজ প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালী যাচ্ছেন
শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৭



14.jpgবঙ্গ-নিউজঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি মহড়া অবলোকনসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার জন্য আজ শনিবার মেঘনা নদী থেকে জেগে উঠা নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাহাইজ্জার চরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপে পোঁছানোর কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সেনা বাহিনীর উদ্যোগে স্বর্ণদ্বীপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে আসার পর তাকে বরণ করে নেবেন সেনাবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১তম পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থপনায় স্বর্ণদ্বীপ এলাকায় আসন্ন ম্যানুভ্যার অনূশীলন-২০১৬ মহড়া অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী অবলোকনসহ ঐ চরে সেনাবাহিনীর বনায়ন কার্যক্রম ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সহযোগীতায় ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র সরঞ্জামাদি। নতুন সংযোজিত আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদির উপর সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য স্বর্ণদ্বীপের বিশাল এই আয়তন ভূমি রণকৌশলগত ও বহুমুখি প্রশিক্ষণ এলাকার অভাব দূর করবে। একই সঙ্গে যুগপোযোগী প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবহিনীকে তার পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং আর্ন্তজাতিক মান বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর দক্ষিণে মেঘনা নদী থেকে প্রায় ২০ বছর আগে জেগে উঠে এই চর। নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী প্রায় লক্ষাধিক একর জায়গায় জেগে উঠা এই চরে বেশীরভাগ জায়গা হচ্ছে হাতিয়া উপজেলার। এই ছাড়া এই চরে জেলার সুবর্নচর ও চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপের কিছু অংশ রয়েছে। মূলত তিনটি উপজেলার ভূমি নিয়ে এই চরের উৎপত্তি। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থতি ৩৬০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই চরটি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করার পর এটি স্বর্ণদ্বীপ হিসেবে নামকরণ করা হয়। স্বর্ণদ্বীপের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি ত্রিমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রশিক্ষনের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বনায়ন ও স্থানীয় জনগনের আর্থসামাজিক উন্নয়ন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে স্বর্ণদ্বীপকে রক্ষা করার জন্য সেখানে বনায়ন ও বৃক্ষরোপনের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর সীমিত বাজেট দ্বারা বনায়ন ও বৃক্ষরোপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬০ হাজার ঝাউ গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। হেলিকপ্টারের সহায়তায় সিড বোম্বিং এর মাধ্যমে ২ টন কেওড়ার বীজ বপন করা হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আনা ডুয়ার্ফ প্রজাতির ১৫ শত নারিকেল গাছের চারার সমন্বয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কারিগরি সহায়তায় একটি আদর্শ নারিকেল বাগান তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৯:১১   ৩১৫ বার পঠিত