শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৭
হাতিবান্ধার অন্ধ নিমাই চাঁদ গান গেয়েই সংসার চালান!
Home Page » ফিচার » হাতিবান্ধার অন্ধ নিমাই চাঁদ গান গেয়েই সংসার চালান!বঙ্গ-নিউজঃ লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ভিক্ষা চাইনা,গান ভাল লাগলে দুই একটি টাকা দিন। দেখতে পাই না তাতে কি হয়েছে এ জীবনে ভিক্ষা করতে চাই না। হাটে-বাজারে আর পথ ঘাটে ছোট পোলা কে সাথে নিয়া গান গাই, মানুষ গান শুনে খুশি হইয়া যা দেয় তাই দিয়ে সংসার অতিকষ্টে চলে। কথাগুলো এভাবেই বলছিলেন নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামের নিমাই চাঁদ বর্মণ (৫০)। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী সাধুর বাজারে তার ছোট ছেলে উজ্জল চাঁদ কে নিয়ে দোতরার টুং টাং শব্দে শুরু করে “পরমানুষে দু:খ দিলে দু:খ মনে হয়না, আপন মানুষ দু:খ দিলে মেনে নেয়া যায় না” মন মুগ্ধকর গান শুনে বাজারে সকলের দৃষ্টি আর্কষণ করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নিমাইচাঁদ বর্মণ। ডিমলা থেকে বড়খাতাহাটে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথে অটোরিকশা ভাড়া শেষ হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী সাধুর বাজারে গান শুরু করেন নিমাই চাঁদ ও তার ছেলে উজ্জল। জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামের মৃত কালা চাঁদ বর্মণের ছেলে নিমাই (৫০)। ছয় বছর বয়সে নিমাই চাঁদ বর্মণের গুটি বসন্ত রোগে আক্রন্ত হয়ে দুই চোখে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করা হয়নি তার। এভাবে কেটেছে তার কয়েক বছর। রেডিও আর টিভিতে গান শুনে সেও চেষ্টা করে গান গাইতে। এক সময় জীবন বাঁচাতে দোতরা নিয়ে পথে ঘাটে গান শুরু করেন নিমাই চাঁদ।
বিয়ে করেন একই এলাকার শুমিতা রানীকে। তার তিন ছেলে। জায়গা জমি বলতে কিছুই নেই তার। হাটে বাজারে গান গেয়ে সংসার চালায় সে। কতদিন থেকে এভাবে উপার্জন করছে জানতে চাইলে তিনি বলে, আজ ৩৬ বছর থেকে আমি গান গায়ে অর্থ উপার্জন করছি।
নিমাই চাঁদের ছোট ছেলে উজ্জল চাঁদ (১২) বলেন,প্রতিদিনেই পেটের তাগিতে অন্ধ বাবা কে নিয়ে বিভিন্ন এলাকার হাট বাজারে ঘুরে গান গেয়ে টাকা তুলি।
দোয়নী সাধুর বাজারের খাদেম আলী জানান, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তার ছেলে বাজারে গান শুরু করলে আমরা সকলেই গান শুনে অর্থ দিয়ে তাকে সাহয্য করি।
বাংলাদেশ সময়: ০:২৪:১৪ ৫৮৪ বার পঠিত