সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

হারে শুরু বাংলাদেশের

Home Page » খেলা » হারে শুরু বাংলাদেশের
সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬



m.jpgবঙ্গ-নিউজঃ ক্রাইস্টচার্চের এই ভেন্যুতে এর আগে কখনও খেলেনি বাংলাদেশ। কন্ডিশনিং ক্যাম্প করলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নতুন ভেন্যুতে সেই চ্যালেঞ্জ আর নিতে পারেনি মাশরাফিরা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৭ রানে হেরেছে সফরকারী দল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। সোমবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি সাকিব-মাশরাফিরা হেরেছে ৭৭ রানের ব্যবধানে।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৪২ রানের জবাবে খেলতে নেমে ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও ওপেনিংয়ে ইমরুল সাউদিকে এক ওভারে দুটি ছক্কা মেরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। অবশ্য ছক্কা দুটোর পরই খোলস বন্দী হয়ে যান তামিম-ইমরুল।

ইমরুলকে ব্যক্তিগত ১৬ রানে সাজঘরে ফেরান সাউদি। ততক্ষণে আরও জমে গেছেন তামিম। এক নম্বরে নামা সৌম্যকে নিয়ে ক্রিজে আকড়ে থাকার লড়াই করে গেছেন তিনি। সৌম্য আগের ব্যর্থতা নিউজিল্যান্ড সিরিজেও টেনে এনেছেন। ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হয়েছেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে নাম কুড়ানো এই ব্যাটসম্যান। সৌম্যর আউটের পর পরই ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে তামিম-সাকিব মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন। ৫৯ বলে ৩৮ রান করে আউট হন তামিম। সাকিব অবশ্য হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৫৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫৯ রান সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া ৪২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মুশফিক।

শেষ দিকে সঙ্গী না পাওয়াতে মোসাদ্দেকের চেষ্টা বৃথাই গেছে। ৪৪ রানে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৫ ওভারে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।

নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন জেমস নিশাম ও লকি ফার্গুসন। এছাড়া টিম সাউদি দুটি এবং মিচেল স্যান্টনার একটি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। শুরুতে ওপেনার গাপটিলকে হারালেও প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন টম ল্যাথাম ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

ব্যক্তিগত ১৫ রানে মুস্তাফিজের লেগ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার বলটি গাপটিল মিস টাইমিং করলে সৌম্য সুযোগটি কাজে লাগান। দ্বিতীয় উইকেটে উইলিয়ামসন ও ল্যাথাম মিলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন।

অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন চার হাজারি ক্লাবে নাম লিখিয়ে আরও ১১ রান যোগ করেই সাজঘরের পথ ধরেন। তাসকিনের অফ স্ট্যাম্পের বল খেলতে গিয়ে মুশফিকের তালুবন্দি হন ব্যক্তিগত ৩১ রানে।

তখনও এক প্রান্তে অবিচল টম ল্যাথাম। তৃতীয় উইকেটে নাইল ব্রুমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৫ এবং চতুর্থ উইকেটে জেমস নিশামের সঙ্গে ২৪ রানের জুটি গড়েন টম ল্যাথাম।

পঞ্চম উইকেটেই সবচেয়ে বড় জুটিটা আসে কিউইদের। ল্যাথাম ও কলিন মুনরো মিলে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন। অবশ্য জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ৪৭তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু মিডউইকেটে মোসাদ্দেক সহজ ক্যাচ মিস করলে অতিরিক্ত আরও চারটি রান হয় কলিনের। এক বল পর অবশ্য তাসকিনের হাতে তালুবন্দি হন সোমবার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলা কলিন মুনরো।

অবশ্য তার আগেই তাসকিন আহমেদের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন টম ল্যাথাম।

১০০ বলে ৫টি চার ও তিনটি ছক্কায় তিনি সেঞ্চুরির দেথা পান। শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজের শিকারে পরিণত হন টম ল্যাথাম। ৪৮তম ওভারে মুস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে অবশ্য ক্যারিয়ার সেরা ১৩৭ রানের ইনিংস খেলে ফেলেন বাঁহতি এই ওপেনার। মুস্তাফিজের অফ স্ট্যাম্পের বেশ খানিকটা বাইরের বলটি খেলতে গিয়েই মুশফিকের গ্ল্যাভসবন্দি হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১২১ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন কিউই এই ওপেনার।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। ১০ ওভারে ৬৯ রান খরচায় সাকিব তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ ও তাসকিন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৩০:২৮   ৩২৩ বার পঠিত