শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের ফলে ‘মিডিয়া ক্যু’ হয়েছে-গয়েশ্বর
Home Page » প্রথমপাতা » নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের ফলে ‘মিডিয়া ক্যু’ হয়েছে-গয়েশ্বরবঙ্গ-নিউজঃ অনেক জল্পনা-কল্পনার পর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। নির্বাচনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াতের সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান প্রায় দ্বিগুন। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেছেন এই ফলের পেছনে মিডিয়া ক্যু হয়েছে।২২ ডিসেম্বর ভোটের পরদিন শুক্রবার রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে নিজের চেম্বারে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি ছিলেন ধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াতের পক্ষে নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনটাকে বলা যায় ফেয়ার আর এর ফলাফলটা আনফেয়ার। ভোটের যে ব্যবধান দেখা গেছে এটা অত্যন্ত অবিশ্বাস্য।’
নারায়ণগঞ্জের বিষয়টি মিডিয়া ক্যু উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের পর বলেছিলেন, জাতীয় পার্টির এরশাদ ‘মিডিয়া ক্যু’ করছেন। আমি ওনার কথার সঙ্গে তাল মিলিয়েই বলছি নারায়ণগঞ্জের ফলাফলের পেছনেও মিডিয়া ক্যু হয়েছে। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা।’
গয়েশ্বররের আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি ফলাফল গণনার বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে বিচার বিভাগীর তদন্তের দাবি জানান। এরপরই গয়েশ্বর তার বক্তব্য তুলে ধরেন। গয়েশ্বর বলেন, ‘শুনেছেন না, ফুল ফুটক বা না ফুটুক আজ বসন্ত। তেমনি আমরা মানি আর না মানি আইভী মেয়র।’
নিজের অভিযোগের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী বেশি পাশ করেছে আপনারা জানেন। তাহলে মেয়রের ফলাফল পক্ষে আসলো না কেন।’ ফলাফল থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ২৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ আর বিএনপির জয় ১২টিতে। জাতীয় পার্টি এবং বাসদ জয় পেয়েছে বাকি চারটিতে।
গয়েশ্বর ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোট গণনার আগেই মিডিয়া অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে ফল প্রকাশ করেছে।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘ভোটের শুরুতে ভোটার সংখ্যা ছিল নগন্য। পরে ভোটারদের ভীড় বাড়তে থাকে। আর যে পরিমাণ ভোট কাস্ট হয়েছে সেই পরিমাণ ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসলে উপচে পড়া ভীড় হওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রগুলোতে কখনোই উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়নি।’
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট। ভোটের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই বৃহস্পতিবার রাতেই সাখাওয়াত সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোট অবাধ-সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৭:১৫ ৩৩৪ বার পঠিত